বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাম্প্রদায়িক হামলা: সরকারকে আরও সময় দিল ঢাবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:২৪

দাবি তিনটি হলো দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; এবং সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করে জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।

কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপে ভাঙচুর ও তাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে সরকারকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ নভেম্বর থেকে আবারও ‘কঠোর আন্দোলন’ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

শাহবাগ মোড় অবরোধের দিনে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি দিলেও দাবি কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবি তিনটি হলো দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; এবং সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করে জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।

গত সোমবার সাত দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকন ও স্বামীবাগ আশ্রমের ভক্তরা।

এ কর্মসূচি থেকে সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িদের গ্রেপ্তার করে ‘সবোর্চ্চ শাস্তি’ এবং হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ তাদের সাত দাবি আদায়ে সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে সরকারের আশ্বাস না পেলে আবারও অবরোধের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা এদিন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেননি। আজ সংবাদ সম্মেলনে বসে শিক্ষার্থীদের এই অংশটি।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ও জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ দত্ত বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক হামলায় আহত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

'এই বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে কারণে আমরা সরকারের চলমান যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সেটার ওপর আস্থা রাখছি। তাই জনদুর্ভোগ কমাতে আমরা আপাতত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করছি। তবে আমাদের অনলাইন ও অফলাইনে যে সামাজিক আন্দোলন যেটা সেটা আমরা অব্যাহত রাখছি।'

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে, সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে। আমরা আশাবাদী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নই। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রতি আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আবারও রাজপথে নামব এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী সুব্রত বিশ্বাস, প্রণব শর্মা বাঁধন, নীল অনির্বাণ, শিপন সূত্রধরও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর