বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সময়মতো পদক্ষেপ নেয়ায় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:১০

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোভিড-১৯ দেশের উন্নয়নের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পথে অনেক দূর এগিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ৩ শতাংশের ঘরে, বাংলাদেশে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ এবং ৫.৫ শতাংশ।’

করোনার আঘাতে বিশ্বের অর্থনীতি সংকুচিত হলেও সঠিক সময়ে সরকার পদক্ষেপ নেয়ায় দেশে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এমপিএফডি) সংক্রান্ত কমিটির তৃতীয় অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আড়খোম ট্রাম্প পিতিয়া আইসিথ, ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রবতী, ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিওনপো নামগে শেরিং ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান।

অধিবেশনে এসকাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির বিশেষ আমন্ত্রণে কীনোট স্পিকার হিসেবে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী। ভিডিও বার্তায় মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ দেশের উন্নয়নের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পথে অনেক দূর এগিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ৩ শতাংশের ঘরে, বাংলাদেশে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ এবং ৫.৫ শতাংশ।’

সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নেতৃত্বের প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য সর্বজনীন এবং সাশ্রয়ী টিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য গর্ববোধ করে। জাতিসংঘের অন্যান্য বেসামরিক কর্মকাণ্ডেও বাংলাদেশ সরাসরি অবদান রাখতে আগ্রহী। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নেও আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব অনেক।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রমাণভিত্তিক নীতি বিশ্লেষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চাহিদাভিত্তিক আঞ্চলিক সেবার মাধ্যমে ইউএন-এসকাপ বাংলাদেশকে বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা তৈরি করতে এবং আঞ্চলিক সংযোগকে গভীর করতে সহায়তা করবে।

‘একই সঙ্গে স্বার্থসংলিষ্টদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সমর্থন ও বহু অংশীদারত্ব বিকাশে সহায়তা করবে।’

দুই বছর পরপর এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা যোগ দেন। অধিবেশনে কোভিডসৃষ্ট বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থনৈতিক নীতি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আর্থিক সম্পদের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।

একই সঙ্গে তাদের অর্থনীতিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ঘাত সহায়ক এবং টেকসই উন্নয়নে রূপান্তরের কথাও তুলে ধরেন।

এ বিভাগের আরো খবর