বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাগড়াছড়িতে মন্দিরের পাশে আগুন, পুড়েছে ৬ দোকান

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:২২

ক্ষতিগ্রস্ত এক দোকানমালিক জ্যোতির্ময় চাকমা বলেন, ‘আমার দোকানে ৫০ কেজি ওজনের ৯ বস্তা চাল ও বিভিন্ন মালপত্র ছিল। সব মিলিয়ে এর আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ টাকার বেশি। আমি রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। ভোরে আমাকে একজন কল করে আগুন লাগার ঘটনা বলে। আমি আসার আগেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।’

খাগড়াছড়ি সদরের শিব মন্দির এলাকায় আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে।

ফায়াস সার্ভিস বুধবার ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ওই এলাকায় আসে। ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইন্সপেক্টর রাজেশ বড়ুয়া।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, দিপায়ন ত্রিপুরা নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে তারা ভোরে ওই এলাকায় আসেন। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার হওয়ায় পৌঁছাতে তাদের সময় লাগে।

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানায়নি ফায়ার সার্ভিস। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন অগ্নিকাণ্ডে তাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার শুরুতে খাগড়াছড়ি ওয়াপদা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে কল দেয়া হয়। তিনি ফায়ার সার্ভিসের নম্বর পাঠান। কয়েকবার সেই নম্বরে কল দিলে কেউ রিসিভ করে না। এর কিছুক্ষণ পরেই ভোরে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিস।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে। তবে আগুনের হাত থেকে শিব মন্দিরটি রক্ষা পেয়েছে।’

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকরা হলেন জ্যোতির্ময় চাকমা, রাঙ্গামনি চাকমা, অমর ধন চাকমা, রামচন্দ্র চাকমা, কৃষ্ণরাম চাকমা, পদ্ম কুমার চাকমা।

দোকানগুলোর মধ্যে ছিল চালের দোকান, মুদি দোকান, কসমেটিকের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

জ্যোতির্ময় চাকমা বলেন, ‘আমার দোকানে ৫০ কেজি ওজনের ৯ বস্তা চাল ও বিভিন্ন মালপত্র ছিল। সব মিলিয়ে এর আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ টাকার বেশি। আমি রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। ভোরে আমাকে একজন কল করে আগুন লাগার ঘটনা বলে। আমি আসার আগেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।’

আরেক দোকানমালিক অমর ধন চাকমা বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি করেছে। তারা আসার আগেই আমাদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকার উৎস ছিল দোকানটি।’

এ বিষয়ে ৫ নম্বর ভাইবোন ইউপি চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর