বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পীরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুপাড়ায় এখনও আতঙ্ক, বিনিদ্র রাত

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৪৪

ওই এলাকার বাসিন্দা মিনা রানী বলেন, ‘পুলিশ আছে, পোশাসন (প্রশাসন) আছে সবাই তো আছে, আসতেছে। কিন্তু ভয় কী যায়...। ওই কতা (কথা) মনে পড়লে খুব কষ্ট নাগে। বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়লে কার না অশান্তি নাগে। সেই অশান্তি হামারো আছে।’

বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘ওই দিনের ঘটনা মনে হইলে চোখের জল আইসে বাবা...। ওমরা (ওরা) আসি বাড়ি ঘরোত আগুন দিলো, ভাঙ্গি (ভেঙে) দিল, সোগ (সব) নিয়ে গেল...। ওটা একটা অশান্তি মনে হয় না? এখনো ভয় ভয় নাগে (লাগে)। কিন্তু পোশাসন (প্রশাসন) আছে কোন সমস্যা নাই। তোমরা সাতে (সঙ্গে) থাকো সমস্যা হইবে না।’

ওই এলাকার বাসিন্দা মিনা রানী বলেন, ‘পুলিশ আছে, পোশাসন (প্রশাসন) আছে সবাই তো আছে, আসতেছে। কিন্তু ভয় কী যায়...। ওই কতা (কথা) মনে পড়লে খুব কষ্ট নাগে। বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়লে কার না অশান্তি নাগে। সেই অশান্তি হামারো আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক বস্তা চাল, ডাল, লবন, লুঙ্গি, ধুতি, এক বান্ডিল টিন পাইচে। দশ হাজার টাকা দিচে। একন এনা কম ভয় করে। কিন্তু রাইত হইলে কতোটা মনে পড়ে।’

ননি গোপাল নামে একজন বলেন, ‘আমরা তো মরচি কাকু। ঘরবাড়ি পোড়া দিচ্ছে কিচ্চু নাই। সোগ তো পোড়া গেইচে। এখন তিনবান্ডিল টিন পাইচি, ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা পাইচ, খাবার দিচে, লুঙ্গি শাড়ি পাইচি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ওমারগুলের (তাদের) কারণে গোটা গেরামোত (গ্রামে) অশান্তি। যামরা (যারা) এই কাম করচে তার যেন শাস্তি হয়। আমরা ভালোভাবে থাকপের (থাকতে) চাই। সবাই মিলি মিশি থাকমো। এত ক্যা অশান্তি। প্রশাশন (প্রশাসন) যদ্দিন (যতদিন) আছে অতদিন সমস্যা নাই।’

রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রামনাথ পুরের উত্তর পাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

এতে ৬০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীদের দেয়া আগুনে পুড়ে যায় ধান, চাল, আসবাব, ঘরে থাকা জামাকাপড়সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। এ সময় বাড়ি-ঘর ছেড়ে ধানক্ষেত, বাঁশঝাড়ে আশ্রয় নেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

বর্তমানে তারা পুলিশের অস্থায়ী তাবুতে রাত কাটাচ্ছেন। তবে হমলার সেই দৃশ্য তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ভয়, ক্ষোভ আর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পল্লীতে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তাদের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে খাবার, কাপড় এবং ঘর নির্মাণের জন্য টিন ও নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৪২ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন।

এ বিভাগের আরো খবর