কারখানায় তর্কের জেরে ঢাকার ধামরাইয়ে একটি কারখানার নারী শ্রমিক মারপিটের শিকার হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া আক্তারের অভিযোগ, তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন মালিকের ভাইসহ লোকজন।
সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনিয়া জানান, মারপিটের ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। ভাই মামুনসহ তিনি কাজ করেন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের ফোটনগর এলাকার বাংলা জুট নামে একটি হস্তশিল্প কারখানায়। মেশিন নষ্টের অভিযোগ তুলে মালিকপক্ষ মামুনকে গালাগাল ও মারপিট করলে প্রতিবাদ জানান সোনিয়া। এরপর কারখানার গেটের বাইরে সোনিয়া ও মামুনকে হাতুড়িপেটা করেন মালিকের ভাইসহ অন্যরা। সোনিয়ার বাবা-মা এগিয়ে আসলে তারাও মারপিটের শিকার হন।
সোনিয়ার বাবা মোহাম্মদ আলী মঙ্গলবার রাতে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক সাথিয়া খাতুন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে কারখানায় কাজ করার সময় মামুনের মেশিন নষ্ট হলে মালিকের ভাই হায়দার তাকে গালাগাল করেন। মামুন প্রতিবাদ করলে হায়দার তাকে ঘুষি মারেন। এসময় হাতাহাতি শুরু হলে সোনিয়া তার ভাই মামুনকে নিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে যান।
‘মালিকের ভাই হায়দার, হযরত, রুবেল, শহীদ ফকিরসহ কয়েকজন তাদের গেটের বাইরে আটকে মারধর করেছে। সোনিয়া ও মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।’
ঘটনার ব্যাপারে জানতে কারখানার মালিক হযরত ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুরা বিষয়টা অন্য পর্যায়ে গেছে। আমি মিমাংসা করতে চাইছিলাম।’
ঘটনা মিমাংসার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম বলেন, ‘ট্রিপল নাইনে ফোন পাইয়া আমি ওখানে গেছি। কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে একটা ঝামেলার কথা শুনছিলাম। যাওয়ার পরে দেখলাম, উভয়পক্ষই কিলাকিলি করছে।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি, তাই মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা নিজেরা মিমাংসা করে ফেললে সেটা ভিন্ন বিষয়।’