বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে সরকার বদ্ধপরিকর’

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৫৭

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহনশীলতা, শান্তি ও বহুত্ববাদের মনোভাব সমুন্নত রাখা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করা এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার আরও প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলাসহ অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে সরকার বদ্ধপরিকর। সব ধরনের ‘মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে’ দায়িত্বশীল ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এ নিয়ে নতুন করে জটিলতা বা ভুল-বোঝাবুঝি এড়ানো যেতে পারে বলে সরকার মনে করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এখনেও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সক্রিয় রয়েছে। মানুষ যখন আনন্দের মেজাজে দুর্গাপূজা উদযাপন করছিল, তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় স্থান এবং মূর্তিগুলোয় হামলার খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সেসব ঘটনার নিন্দা জানায় এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতরে ও বাইরে থেকে প্রতিক্রিয়াগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখে।

ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে, বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) দেশের ২২টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নিজেই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে আইন প্রয়োগকারী এবং তদন্তকারী সংস্থার কাছে উপলব্ধ প্রযুক্তিগত উপায় অবলম্বন করা। তিনি সব ধরনের উসকানিতে সংযম বজায় রাখতে এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি সবাইকে যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতারা বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এসব ঘটনায় ৭১টি মামলা হয়েছে। কুমিল্লায় হামলার পেছনের কথিত মাস্টারমাইন্ডকে এরই মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, কিছু নির্দিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহল কিছু সন্দেহজনক রাজনৈতিক মাইলেজ অর্জনের জন্য এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে। এটা দুঃখজনক যে, ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী স্থানীয় উপাদানগুলো এখনও সহিংসতা, বিদ্বেষ ও গোঁড়ামিকে উসকে দিতে তাদের বিষাক্ত বর্ণনা প্রচার করছে।

তারা দেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক এবং বহুত্ববাদী প্রশংসাপত্রকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রশংসা করে যথাযথ চিত্তে উৎসব শেষ করার জন্য এবং সাধারণ জনগণের একাত্মতা প্রদর্শনকে স্বাগত জানায়।

এই প্রেক্ষাপটে সরকার পুনর্ব্যক্ত করতে চায় যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তি। বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি এবং ধর্মের মানুষ এই ভূখণ্ডে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তির প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার সাংবিধানিক বিধান দ্বারা সুরক্ষিত। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আইন তার সব নাগরিককে যে কোন প্রকার বৈষম্য ও অসহিষ্ণুতা থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়, দেশের গণতান্ত্রিক শাসন নাগরিকদের ধর্ম, বিশ্বাস ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে তাদের মৌলিক অধিকার ভোগ নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যে, প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।

বাংলাদেশ সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে সব ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে তাদের কল্যাণের জন্য বিশেষ ট্রাস্ট ফান্ড স্থাপন করেও সহায়তা করছে। এই বছর দুর্গাপূজায় প্রধানমন্ত্রী হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহনশীলতা, শান্তি ও বহুত্ববাদের মনোভাব সমুন্নত রাখা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করা এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার আরও প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর