বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্দিরে হামলা: ফেনীতে আরেক মামলা, গ্রেপ্তার আরও ৬

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৪২

ট্রাংক রোডের জয়কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার দাস ফেনী মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে মামলা করেন।

ফেনী শহরের কালীপাল গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম, ট্রাংক রোড ও বড় বাজারের কালী মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের মামলায় আরও ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনকে মঙ্গলবার ফেনীর আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ট্রাংক রোডের জয়কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার দাস ফেনী মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে এ মামলা করেন।

পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামি আবদুল্লাহ আল মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফেনী পৌরসভার শাহীন একাডেমি রোডের মনু ভিলায় থাকেন। ২১ বছর বয়সী আবদুল্লাহ নোয়াখালীর সেনবাগের লদুয়া কানকির হাট এলাকার বাসিন্দা।

গ্রেপ্তার অপর ৫ জনের মধ্যে ফেনী থানা পুলিশের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন লক্ষ্মীপুর সদরের মাওলানা পাড়ার মো. সোহেল, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের কাকড়াতলীর মো. রোমান শেখ, ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া কটুমিয়া ভূঁঞা বাড়ির মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।

একই ঘটনায় র‌্যাবের মামলার আসামি ফেনী সদরের লেমুয়ার মেহেদী হাসান মুন্নাকে জেলা ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

শনিবার রাতে ফেনীতে মন্দির, আশ্রম ও দোকানপাটে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ৪ মামলায় এ নিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন।

তিনি জানান, গত সোমবার ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে নেয়া ৬ জনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড শুনানি আগামী সোমবার হবে।

অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মনির।

শনিবার বিকালে আসর নামাজ শেষে ফেনী বড় জামে মসজিদের সামনে অবস্থান করছিলেন মুসল্লিরা। একই সময়ে কালী বাড়ি মন্দিরের সামনে প্রতিবাদ সভা ও শহীদ মিনারে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। একপর্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, যুবলীগ-ছাত্রলীগকর্মীসহ সাধারণ পথচারী, সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ অন্তত ২৯ জন আহত হন। তখন ফেনীর কেন্দ্রীয় জয়কালী মন্দির, রাজকালী মন্দির ও গাজীগঞ্জে মহাপ্রভুর আশ্রমে ব্যাপক ভাঙচুর করা। এছাড়া ফেনী শহরের ১৫টি দোকানও লুটপাট করে হামলাকারীরা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী কমিশনার

ফেনীতে মন্দির, দোকানপাটে হামলা-ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় সহকারী কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি শহরের কেন্দ্রীয় জয়কালী মন্দির, বড় বাজারের রাজকালী মন্দির, জগন্নাথ মন্দির ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাটে পরিদর্শন করেন অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তা এখনও আছে, ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। ভারত সবসময় বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করে।

হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অংপ্রু মারমা, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল নাথসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।

আওয়ামী লীগের শান্তি-সম্প্রীতি সমাবেশ

সাম্প্রদায়িক সংঘাতের প্রতিবাদে ফেনীতে শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী পৌর মিলনায়তন থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের ট্রাংক রোডে শহীদ মিনার মিলনায়তনে সমাবেশ হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ আহম্মদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকারের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়।

বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার তপন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমদসহ অনেকে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বলেন, ‘একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের অশুভ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। প্রশাসন দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করছে। সবাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর