গাজীপুরে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর সদরে, কাশিমপুর থানা ও কালিয়াকৈর উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার আব্দুল খালেকের স্ত্রী বকুল, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার চরকাটারি গ্রামের মইনাল হক ও ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানা এলাকার মো. মোস্তফা।
কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াকৈর থেকে অটোরিকশায় ভাগনেকে নিয়ে মাওনার দিকে যাচ্ছিলেন মোস্তফা। কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের আমতৈল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাস্থলেই মোস্তফা মারা যান। এ দুর্ঘটনায় সিএনজিচালক, তার ভাগনে ও এক নারী আহত হন।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানায় নেয়া হয়।
নিহত মোস্তফা কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসআই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে গাজীপুরের সালনা এলাকায় ভাতিজা ফরিদ হোসেনের বাসায় বেড়াতে আসেন বকুল। সকাল ১০টার দিকে কনকর্ড গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার তাকে ধাক্কা দেয়।
এতে বকুলের মাথায় ও পায়ে আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তাকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কাশিমপুর থানার পশ্চিম শৈলডুবি বাগবাড়ি-নরসিংপুর সড়কে মোটরসাইকেল পথচারী মইনাল হককে ধাক্কা দেয়।
এতে মইনাল হক ও মোটরসাইকেলের চালক মাহমুদ সানী সড়কে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা মইনালকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে এবং চালক মাহমুদ সানীকে সাভারের এনাম মেডিক্যালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মইনালকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।