বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামলার প্রতিবাদ পথনাটকে

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৫৬

মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন কীভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে আর কীভাবে মণ্ডপ ভাঙচুর করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটির কাল্পনিক একটি চিত্র শৈল্পিক এ প্রতিবাদে মঞ্চস্থ করা হয়েছে।

কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপে ভাঙচুর, তাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা এবং সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘দেখতে কি পাও, পুড়ছে বাংলা...’ শীর্ষক এক প্রতিবাদী নাট্য পরিবেশনার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

‘গোল হয়ে আসুন সকলে, ঘন হয়ে আসুন সকলে’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত শৈল্পিক প্রতিবাদে বিভাগের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন কীভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে আর কীভাবে মণ্ডপ ভাঙচুর করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটির কাল্পনিক একটি চিত্র শৈল্পিক এ প্রতিবাদে মঞ্চস্থ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ প্রায় শতাধিক মানুষ এ পরিবেশনা উপভোগ করেছেন।

পরিবেশনার সময়ে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইসরাফিল সাহিন, ড. সাইদুর রহমান লিপন, মোহাম্মদ আহসান খান এবং নাভেদ রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশানাটির মুখ্য তত্ত্বাবধায়ক তানভির নাহিদ খান বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবে সারা দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা এই বাংলার হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে হুমকির মুখে ফেলে, অসাম্প্রদায়িক এই রাষ্ট্রকে সংকটাপন্ন করেছে। সমাজের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই সাম্প্রদায়িক আচরণের প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে। দেশকে বাঁচাতে হলে এই হামলা, সহিংসতা, উগ্র এবং ধর্মান্ধ আচরণ প্রশ্রয় না দিয়ে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিহত করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পথনাটকে হামলার প্রতিবাদ।

বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমান মৈশান বলেন, ‘ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ, এথনিক জাতীয়তাবাদ ও বুর্জোয়া শ্রেণিবাদ-এই সবই মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শের পরিপন্থি। এদেশে একজন মুসলমান ঠিক যতটুকু বাঁচার অধিকার রাখে, একজন হিন্দুও ততটুকুই অধিকার রাখে। বহু জাতির ও বহু ধর্মের বাংলাদেশকে বীভৎস সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদ থেকে রক্ষার জন্য সবাই আওয়াজ তুলুন।’

বিভাগের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লিয়ন বলেন, ‘‘আমাদের দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। ‘সকল ধর্ম, সকল জাতি সম অধিকার’ মুক্তিযুদ্ধের এই মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে আমরা বাস করি। যখন এর ব্যত্যয় ঘটে তখন রচিত হয় অন্যায়। এটা নিজ মাতৃভূমি তথা আপন জনের সঙ্গে অন্যায়।

‘আমাদের বিভাগ সব সময় নাট্য এবং শিল্পের ভাষায় প্রতিবাদ করে। মানুষ হিসেবে, সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং সর্বপরি শিল্পী হিসেবে দেশ ও মানবতার স্বার্থে আমাদের বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা সব সময়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সক্রিয়।’

প্রসঙ্গত থিয়েটার পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২০১৬ সালে নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপরে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, লুট ও তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ‘আমি মালাউন বলছি’ শীর্ষক প্রতিবাদী পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শৈল্পিক প্রতিবাদী নাট্য পরিবেশনা উপস্থাপন করে থাকেন।

এ বিভাগের আরো খবর