চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় আলাদা তিনটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ বাদী হয়ে একটি এবং ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার চাম্বল ও নাপোড়া মন্দিরের সভাপতি করেন অন্য দুটি মামলা।
তিন মামলায় এজাহার নামীয় ৬২ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৯৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
এসব মামলায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে নেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ওসি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার মহাঅষ্টমির দিন বিকেল থেকে বাঁশখালীর বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর শুরু হয়। এর মধ্যে চাম্বলের মন্দির ভাঙচুর, নাপোড়ার মন্দিরের গেট ভাঙচুর এবং কেন্দ্রীয় কালী মন্দির জলদির গেট ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।’
বুধবার হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজায় মহাঅষ্টমির দিন বিকেলে কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগের জেরে বাঁশখালীর বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায় একদল লোক। এতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান বলেন, ‘বুধবারের ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’