রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলার দায় প্রশাসন এড়াতে পারবে না বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু l
তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা আছে কি না, তা সরকারকে তদন্ত করে দেখতে হবে। তা না হলে এই হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।’
এই সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘৩২ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দেয়া হলো, অথচ ৫০টিতে হামলা হলো। এর দায়দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
জাসদের সভাপতি বলেন, ‘যারা এই ন্যক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা দেশের ও সমাজের শত্রু। এদের দ্রুত বিচার আইনে তিন মাসের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। দৃশ্যমান শাস্তি হলে প্রতীয়মান হবে যে হামলাকারীরা রেহাই পায় না।’
ইনু বলেন, ‘হিন্দুদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস বা দর-কষাকষি চলবে না। যেকোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সাম্প্রদায়িক উসকানি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার পেছনে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে হাসানুল হক বলেন, ‘জঙ্গি সন্ত্রাসী জামায়াত-শিবিরের মাথার ওপরে যতদিন পর্যন্ত বিএনপি ছাতা ধরে থাকবে, ততদিন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলতে থাকবে। তাই এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দলকে বয়কট করতে হবে।’
এসব ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার আহ্বানও জানান ইনু। বলেন, ‘কারা হামলাকারী, সরকার তা জেনে গেছে। সুতরাং নিরীহ কাউকে ধরবেন না।’
রংপুর জাসদের সাধারণ সম্পাদক কুমারেশ রায়, মহানগর সভাপতি সাহিদুল ইসলাম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুদ, সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, পীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মীর মোহাম্মদ মানিক, রংপুর জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি ওসমান গণি শুভ্রও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।