বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩০

‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। আমাদের সংবিধানেও সে নির্দেশনা দেয়া আছে। আমাদের ইসলাম ধর্মও সেই কথা বলে।’

অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধর্ম নিয়ে যাতে কেউ বাড়াবাড়ি না করে সেটা নিশ্চিত করা তার সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। তাতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন দলীয় সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। আমাদের সংবিধানেও সে নির্দেশনা দেয়া আছে। আমাদের ইসলাম ধর্মেও সেই কথা বলে।’

মহানবী (স.) উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নবী করিম (সা.) বলেছেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কাজেই সে বাড়াবাড়ি যেন কেউ না করে, সেটাও আমরা চাই এবং এদেশে সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

ভৌগোলিক সীমারেখায় বাংলাদেশ ছোটো হলেও, জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বড় দেশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই প্রত্যেকটি মানুষের জীবন যেন সুন্দর হয়, উন্নত হয়। প্রত্যেকটা মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, পায়, উন্নত জীবন পায়। যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, সেটা যেন আমরা পূরণ করতে পারি।’

শিশুর জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের পরিণতি যেন দেশের কোনো শিশুকে বরণ করতে না হয়, সেজন্য এক নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারও করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিশ্বকে পারব কিনা আমি জানি না, কিন্তু আমার দেশের মানুষের জন্য আমি একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে যেতে চাই, যেন আমার রাসেলের মতো আর কারও জীবন হারাতে না হয়।

‘একটা শিশু, তার যে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো না। অচিরেই তাকে জীবন দিতে হল, রক্ত দিতে হলো। এই ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর ঘটে সেটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা, সেটাই আমরা চাই।

‘একটা শিশু তার যে মেধা, তার যে জ্ঞান, তার যে বুদ্ধি সেটা যেন বিকশিত হতে পারে, যাতে বাংলাদেশকে তারা যেন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই চেষ্টাই আমি করে যাচ্ছি। কারণ এত রক্তক্ষয়, এতকিছু বাংলাদেশে ঘটে গেছে আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’

বাবার আদর্শ ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানালেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। শিশুরা যেন নির্মমতার শিকার না হয়, সেটাই তার সরকারের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের শিশুরা যেন আর এই নির্মমতার শিকার না হয়। কিন্তু এখনও আমরা দেখি সেই নির্মমতা। এখনও মাঝে মাঝে দেখি। পরবর্তীতেও আমরা দেখেছি। কিন্তু এটা যেন না হয়। কারণ দেখেছি, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে কীভাবে হত্যা করা হচ্ছে জ্যান্ত মানুষদের, শিশুদের পর্যন্ত।

‘খালেদা জিয়া বিরোধী দলে থাকতেই তো অগ্নিসন্ত্রাস করে চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে মেরেছে, বাপ দেখেছে নিজের চোখের সামনে সন্তান আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে। তেমন নিষ্ঠুর ঘটনা তো বাংলাদেশে ঘটেছে। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের।’

মানবাধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটুকুই চাইব যে এখানে মানবতার প্রশ্ন যারা তোলে, তারা যেন এই ঘটনাগুলো ভালোভাবে দেখে যে, বাংলাদেশে কী ঘটত? আমরা সরকারে আসার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা কোনো শিশু রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে না, টোকাই থাকবে না। তাদের যেন একটা ঠিকানা থাকে। তারা যেন একটু ভালোভাবে বসবাস করতে পারে।’

১৫ আগস্ট আরেক কারবালা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার রাতকে ‘কারবালার’ সঙ্গে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কারবালাতেও কিন্তু নারী শিশুকে হত্যা করা হয়নি। ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা…যাদের জন্য আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রাম করলেন, তাদের হাতেই তাকে জীবন দিতে হল। জীবন দিতে হলো, পরিবারের সকল সদস্যকে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারাবিশ্বে অনেকেই কথা তোলে, মানবাধিকারের কথা তোলে, আমাকে অনেক সময় মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করে। তখন আমার মনে হয়, আমি জিজ্ঞেস করি, তাদের কী অধিকার আছে আমাকে এই প্রশ্ন করার? যখন আমার বাবা-মা সবাইকে হত্যা করার পর আমি বিচার চাইতে পারিনি। আমি যখন বাংলাদেশে আসলাম, আমি কোনো মামলা করতে পারব না। আমি বিচার চাইতে পারব না। কারণ ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স।

‘খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। এবং তাদেরকে দূতাবাসে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। জনগণের ভোট চুরি করে পার্লামেন্ট সদস্য করা হয়েছে। তাদেরকে নানাভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে এই দেশে।’

৫ বছরে ১৯ ক্যু

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে কীভাবে সেনাবাহিনী সুশৃঙ্খল ছিল- সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘৭৫ এর পর বাংলাদেশে ১৯টা ক্যু হয়েছে। আমি জানি বিএনপির অনেক নেতা, বা বিএনপিতে আগে ছিল তারা অনেকে দাবি করে জিয়াউর রহমানের হাতে সেনাবাহিনী খুব নাকি ডিসিপ্লিন ছিল। শক্তিশালী হয়েছে। সেখানে আমার প্রশ্ন, ১৯ ক্যু যখন হয় একটা দেশে, অর্থ্যাৎ ৭৫-৮১ এর মধ্যেই ১৯টা ক্যু হয়েছিল। তাহলে সেই দেশে সেনাবাহিনী ডিসিপ্লিন থাকে শক্তিশালী থাকে এই দাবি করে কোন মুখে। আর এ কথা বলেই বা কোন মুখে?’

এ বিভাগের আরো খবর