বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অজ্ঞান পার্টি’ ঢাকা মেডিক্যালেই

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৩১

হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে ঢাকা মেডিক্যালে। বেশির ভাগ রোগীর ঢাকার বাইরে থেকে আসে। অপরিচিত লোকদের ভালো মনে মিশে। তারা এর সুযোগ নেয়। রোগীর স্বজনদের সচেতন হতে হবে।’

কৌশলে মানুষকে অজ্ঞান করে সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়ার চক্র হানা দিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে ভুক্তভোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে।

হাসপাতালের গাইনি ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে জিনিপত্র খোয়ালেন এক রোগী ও তার দুই স্বজন।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে। রাত দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তিন জনকে পড়ে থাকতে দেখে ওয়ার্ডের কর্মীরা তাদেরকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে পাকস্থলি পরিষ্কার করার পর আবার গাইনি ওয়ার্ডে নিয়ে যায়।

অসুস্থ তিনজন হলেন মিতা, খুশী ও শাহিনুর।

খুশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে এক নারী আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি একটি পলিথিন ব্যাগ নিয়ে আসেন। তাতে দুটি জুস ও একটি কেক ছিল।

‘তখন একজন এসে বলে, তোমার মা পাঠিয়েছে, এটি খেয়ে নাও। তখন আমার মা বাইরে ছিল, এরপর আর কিছু বলতে পারব না।’

খুশি বলেন, ‘আমাদের স্টোমাক ওয়াশ দেয়ার পর খোঁজ নিয়ে দেখি আমার বোনের স্বর্ণের কানের দুল নেই, ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকাসহ অন্যান্য জিনিসও নিয়ে গেছে।’

মিতার মা সান্ত্বনা বেগম বলেন, ‘আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার সব নিয়ে গেছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা ছিল সেটাও চোরের দল নিয়ে গেছে।’

২১২ নং গাইনি ওয়ার্ড এর নার্সিং ইনচার্জ রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের ওয়ার্ডে তিন শিফট আনসার সদস্যরা ডিউটি করে। এটা তাদের উপরেই বর্তায়।’

ঘটনা এই প্রথম নয়

ওয়ার্ড মাস্টার আবু সাঈদ জানান, এমন ঘটনা হাসপাতালে এর আগেও ঘটেছে। দুই মাসের ভেতরে তিনটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এখানে রোগীর সঙ্গে তিন থেকে চার জন ভিজিটর আসে। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সুযোগ নিয়ে জুস, কেক বা অন্য কিছু খাইয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমরা রোগীদের সব সময় বলি, অন্যের দেয়া কিছু খাবেন না।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে ঢাকা মেডিক্যালে। বেশির ভাগ রোগীর ঢাকার বাইরে থেকে আসে। অপরিচিত লোকদের ভালো মনে মিশে। তারা এর সুযোগ নেয়।’

তিনি বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের সচেতন হতে হবে।’

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর