বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাদের সময় কোনো দাঙ্গা হয়নি: মির্জা আব্বাস

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:০০

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ, বিশ্বজুড়ে সুনাম আছে। দেশের হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলেও তারা কখনও সেটা অনুভব করে নাই। আমার সাথে বহু ক্লাসফ্রেন্ড ছিল যারা এখন মারা গেছেন। পূজা-পার্বণ একসঙ্গে পালন করেছি। আমরা তো পূজা করতে পারি না, তবে তাদের উৎসাহ দিতাম।’

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় রোজা ও দুর্গাপূজা একসঙ্গে হলেও কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা বা দাঙ্গা হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তার দাবি, দুর্গাপূজায় হিন্দুদের মণ্ডপে হামলার মাধ্যমে সরকার মানুষের নজর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা থেকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে পরিকল্পিত ঘটনা ঘটিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরছে বলে অভিযোগ করেন। বলেন, ‘সরকার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে এ দেশ একটি সন্ত্রাসী দেশ। এদেশে বিদেশি সাহায্য দরকার।

‘আমার নেত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনবার রোজা এবং পুজা একসঙ্গে পালন হয়েছে। তখন তো কোনো দাঙ্গা হয়নি। একে অপরের ধর্মকে আমরা মেনে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আসল কথা হলো, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে, দুর্নীতি-লুটপাটসহ সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম আড়ালের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সরকার এ সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ, বিশ্বজুড়ে সুনাম আছে। দেশের হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলেও তারা কখনও সেটা অনুভব করে নাই। আমার সাথে বহু ক্লাসফ্রেন্ড ছিল যারা এখন মারা গেছেন। পূজা-পার্বণ একসঙ্গে পালন করেছি। আমরা তো পূজা করতে পারি না, তবে তাদের উৎসাহ দিতাম।’

তিনি বলেন, ‘আমার এলাকায় ২৫ ভাগ হিন্দু ভোটার বসবাস করে। কেউ বলতে পারবে না যে, এই এলাকায় কোনো দিন দাঙ্গা হয়েছে। যখন বাবরি মসজিদ ভাঙে আমি নিজে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে তাদের পাহারা দিয়েছি।’

বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ‘এই হাঙ্গামার অনেকগুলো কারণ আছে। যদি হিন্দুরা চলে যায় সেই সম্পত্তি আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করবে। আর যদি তারা থেকে যায়, মিথ্যাচার করে সেই ভোটটাও তারা পাবে। কিন্তু হিন্দু ভোটাররা সেটা করেন না। তা করলে হিন্দু ভাই-বোনদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হতাম না।’

খালেদা জিয়া এখন ক্ষমতায় থাকলে দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না বলেও দাবি করেন মির্জা আব্বাস।

বলেন, ‘পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় পেঁয়াজ, তেল, লবণ সবকিছুর ঊর্ধ্বগতি। ভূতুড়ে পানির বিল, ভূতুরে গ্যাস বিল। বেগম খালেদা জিয়া আজকে থাকলে এ লুটপাট বন্ধ হয়ে যেত।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায় তারা বিশ্ববাসীকে বলতে পারবে আমরা তো তার সাজা স্থগিত করে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছিলাম। আমরাও বলতে পারব আপনারা বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেননি।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এসএস জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর