বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অপরাধী শনাক্তে এক ধাপ এগিয়ে র‍্যাব’

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৪৬

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহারে অপরাধীদের শনাক্ত করতে র‍্যাব আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারে র‍্যাব আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’ র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তথ্য দিতে সেই ভয় পায় যে অপরাধী। সাধারণ মানুষ কখনও তথ্য দিতে ভয় পায় না। অপরাধীরা যদি তথ্য দেয় তাহলে হয়তো ধরা পড়ে যাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে আটকে যাবে। সেজন্য তথ্য দিতে ভয় পায়।’

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ‘ডাটা হাব’ ও ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে র‍্যাব। এছাড়া ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও প্রাইভেট ক্লাউড তৈরি করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)। এর মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র‍্যাবের সক্ষমতা বেড়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তরে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহারে র‍্যাব ফোর্সেসের সকল ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষে ‘র‍্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর উদ্বোধন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহারে র‍্যাব ফোর্সেসের সকল ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষে ‘র‍্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের আজ উদ্ভোধন হলো। অপরাধীদের শনাক্ত করতে র‍্যাব আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। আমি প্রত্যাশা করবো সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারে র‍্যাব আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। র‍্যাবের দাপ্তরিক কাজ, প্রাইভেট কাজ, গুরুত্বপূর্ণ নথি, তথ্য সংরক্ষণে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’

কীভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করবে সে প্রসঙ্গে র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনন্স) কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, যে দেশ প্রযুক্তিতে যত উন্নত, অপরাধ দমনে সেই দেশ তত এগিয়েছে। র‍্যাব সদরদপ্তর ও ব্যাটেলিয়নে যুক্ত ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি’র মাধ্যমে যেকোন ধরনের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অতীতের চেয়ে আরও সক্ষমতার সঙ্গে অপরাধী শনাক্ত ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং যেকোন বিষয়ে র‍্যাব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

কর্নেল আজাদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাবের উদ্ভাবিত ‘জেল ডাটাবেজ’, ‘ক্রিমিনাল ডাটাবেজ’... ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সফলভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ দমন করা এবং অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রযুক্তির প্লাটফর্ম হচ্ছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি। বর্তমানে বিশ্বে যতধরনের উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি আছে তার সবই এখানে আছে। এই এনটিএমসি থেকে বিভিন্ন অভিযানিক এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন অতীতের চেয়ে অনেক সহজে অপরাধ দমন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হচ্ছে।’

কর্নেল আজাদ বলেন, র‍্যাব সদর দপ্তর এনটিএমসি থেকে ডাটা হাবসহ অনেক সহযোগিতা পাচ্ছে। এই সহযোগিতা শুধু সদর দপ্তর না, এখন থেকে র‍্যাবের ১৫টি ব্যাটেলিয়ন এই সুবিধা পাবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় থাকা ক্যাম্পগুলোও ব্যাটেলিয়ন থেকে সুবিধা পাবে। র‍্যাব অতীতের চেয়ে আরও ভালোভাবে সক্ষমতার সঙ্গে অপরাধী শনাক্ত ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং যেকোন বিষয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’

র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তথ্য দিতে সেই ভয় পায় যে অপরাধী। সাধারণ মানুষ কখনও তথ্য দিতে ভয় পায় না। অপরাধীরা যদি তথ্য দেয় তাহলে হয়তো ধরা পড়ে যাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে আটকে যাবে। সেজন্য তথ্য দিতে ভয় পায়।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন সার্চ দিলেই কোনো অপরাধ সম্পর্কে ও অপরাধী বা আসামী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার সুফল এখন দেশের মানুষ ভোগ করছে। র‌্যাব এর উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, আমরা আজকে যে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কথা বলছি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যে তথ্য এক জায়গাতে সংরক্ষণ করবো। আমরা এই তথ্যের সহায়তা কিন্তু এনটিএমসি থেকে আগেও পেয়েছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সুবিধায় অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবো। যে তথ্যের জন্য র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে বা কোন ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। অথবা এমটিএমসি’তে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। সার্চ দিলেই তথ্য পেয়ে যাবে র‌্যাবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোম্পানি (সিপিসি) কর্মকর্তারাও। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও অপারেশনাল কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারব। এর জন্য আমরা আমাদের নিজস্ব একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহারে র‍্যাব ফোর্সেসের সকল ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষে ‘র‍্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের আজ উদ্ভোধন হলো। অপরাধীদের শনাক্ত করতে র‌্যাব আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। আমি প্রত্যাশা করবো সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারে র‌্যাব আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। র‌্যাব দাপ্তরিক কাজ, প্রাইভেট কাজ, গুরুত্বপূর্ণ নথি, তথ্য সংরক্ষণে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এনটিএমসি’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপারেশন্স) কর্নেল একে আজাদ।

এ বিভাগের আরো খবর