মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন রোধ এবং অনলাইনে ডলার কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর মঙ্গলবার নোটিশটি পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য মূলত মার্কিন মুদ্রা ডলার ব্যবস্থায় করা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ডলারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ২০০৬ সালে ১ ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭০ টাকা। অপরদিকে ২০২১ সালের অক্টোবরে ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৫.৬০ টাকা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ৮৮ টাকা দরে ডলার বিক্রি হচ্ছে।
নোটিশে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে মার্কিন ডলারের দাম অনৈতিক ও অন্যায়মূলকভাবে বাড়ানো হচ্ছে এবং বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মান অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রার অবমূল্যায়নের দরুণ বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে এবং আমদানিকৃত খাদ্য দ্রব্য ও জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে; দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ তাদের প্রযোজনীয় খাদ্য দ্রব্য কিনতে পারছে না।
আইনি নোটিশে বলা হয়, মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়ন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতার জন্য দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ফরেন একচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স ব্যাতীত বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরও বাংলাদেশে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অধিক মূল্যে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে।
নোটিশে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন রোধ এবং অনলাইনে ডলার কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।