কেন্দ্রীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য ‘জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, জাকাত সংগ্রহে ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে প্রধান করে একটি জাকাত বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে।
তিনি বলেন, ‘জাকাত তহবিল গঠন করা হবে। তহবিলের অর্থ সরকারিভাবে সংগৃহীত হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থ যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের জাকাত ফান্ডে জমা দিয়ে জাকাত আদায় করতে পারবেন। আর একটা বোর্ড থাকবে। ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এটার চেয়ারম্যান থাকবেন।
‘এটা একটা অপশন। সুরা তাওবায় প্রিসাইসলি সাতটি ক্যাটাগরি করে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তি যে জাকাতযোগ্য সে সাত ক্যাটাগরির যে কোনো একজনকে জাকাত দিতে পারবেন। বিভিন্ন ইসলামিক দেশগুলোতে বোর্ড আছে। অনেকেরই হয়তো ব্যক্তিগতভাবে দেয়ার সুযোগ থাকে না, সে হয়তো জাকাত ফান্ডে দিয়ে দিলেন। তখন জাকাত ফান্ড তার পক্ষে জাকাত আদায় করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা তো কোরআনেও পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে যে, তোমার যখন সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা ওই পরিমাণ টাকা যদি এক বছর থাকে তাহলে আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হবে। সেটা যদি ব্যক্তিগতভাবে দেয় তো দিলো; না হলে সরকারে ফান্ডে দিলে সেটাও দিতে পারবে।
‘যেমন আপনি যখন হজে যাবেন আপনি কিন্তু কোরবানি করতে যাবেন না। আপনি টাকা জমা দিয়ে দেবেন ব্যাংক, একটা টাইম দিয়ে দেবে ১০ তারিখ এতটার সময় আপনার কোরবানি হয়ে যাবে। সেজন্য এ সিস্টেমটা পুরো পৃথিবীতেই আছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনটিতে ১৪টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তিন নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ করা হবে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে সরকারিভাবে জাকাত দানে উদ্বুদ্ধ করা হবে। জাকাত সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, জাকাত দানে আগ্রহী ব্যাক্তিদের জাকাত যোগ্য সম্পদ ও প্রত্যয়ন প্রদান কার হবে।
‘জাকাত বোর্ডে সদস্য থাকবে ১০ জন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দেবে ইসলামি ফাউন্ডেশন বা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে। কালেকশন ও ডিস্ট্রিবিউশনটা তারা করবেন। কাকে কীভাবে দেবে এটা তারা ঠিক করবে। তাদের একটি অ্যাকাউন্ট থাকবে, সেখান থেকে তারা সংগ্রহ করবে।’
জাকাত আইন ছাড়াও ‘চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ আইন ২০২১’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।