রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিলসহ চার আসামির সম্পত্তি ও মালামাল জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন সোমবার এ আদেশ দেন।
বাকি তিন আসামি হলেন, হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকারনাইন, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামিম আল মামুন।
সাত আসামির মধ্যে জামিনে থাকা তিনজন হলেন আহমেদ কবির কিশোর, রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান।
বাকি চার আসামিকে পলাতক দেখিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ নিয়েছে আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের মে মাসে রমনা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহসীন।
এই মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।
২৫ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক তৈরি হয়। কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার অবহেলাসহ নানা বিষয় উঠে আসে।
এরপর সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলার বিচারের জন্য ব্যাপক তদন্তের নির্দেশ দেয়। ১০ মে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপপরিদর্শক আফছর আহমেদ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট কিশোর, ‘নেত্র নিউজ’-এর এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল, জুলকারনাইনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, জার্মানিপ্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।
এটি মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্র। গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম অভিযোগপত্র পাওয়ার পর আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিলে সিটিটিসি তদন্ত করে নতুন অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।