বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তি সম্প্রীতির শোভাযাত্রা

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৫৩

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগের এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহীদ মিনারের দিকে রওনা হয়। এতে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।

দেশে দুর্গাপূজার উৎসবের মাঝে এবং পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ঢাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহীদ মিনারে যায়। সেখানে সমাবেশের মাধ্যমে এই আয়োজন শেষ হয়।

শান্তি ও সম্প্রীতির শোভাযাত্রাটি প্রথমে যুবলীগ ঘোষণা করলেও পরে সেটা দলীয় কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।

তাদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘দেশের সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের ভালোর জন্য সবার ভূমিকা রাখার প্রয়োজন আছে। আমাদের এমন একটা বিরোধী দল, যারা সারাক্ষণ যড়যন্ত্র আর কুচক্র করে যাচ্ছে সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য। এর বিরুদ্ধে সব পেশাজীবী থেকে শুরু করে আপামর জনগণের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে এটা একটি সিস্টেমেটিক যড়যন্ত্র। এদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাদেশে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগও।

সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি মিছিল শহীদ মিনার আসে।

দুর্গাপূজা চলাকালীন ও বিসর্জন শেষে কুমিল্লাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় হিন্দুদের পূজামণ্ডপ, মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।

গত বুধবার কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির উত্তর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর ওই দিন সকাল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য। তবে আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে নোয়াখালীর চৌমুহনী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এর মধ্যে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রোববার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে রামনাথপুর ইউনিয়নের বাটের হাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলাকারীরা অন্তত ২৩টি বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানিয়েছে, এসব ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ৭১টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৫০ জনকে। আরও কিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এসব হামলার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা বা বিশ্বাস একটি মানবিক অধিকার। ধর্মীয় সম্পর্ক বা বিশ্বাসের দিক থেকে বিশ্বব্যাপী নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিরাপদ অনুভব করতে দিতে হবে এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো উদযাপনে সহযোগিতা করা উচিত।’

‘বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা হয়েছে তার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’, যোগ করেন মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। এসব হামলা থামাতে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার এক টুইটে মিয়া সেপ্পো লেখেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা সংবিধান পরিপন্থি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর