সোমবার পুঁজিবাজারে বড় পতনের পর মঙ্গলবার লেনদেনের শুরু থেকেই উত্থানে সূচক। এক ঘণ্টায় সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট। টানা ছয় কার্যদিবস সূচকের পতনের পর মঙ্গলবার এমন উত্থানে পুঁজিবাজার আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের।
গেল কয়দিন কেন টানা সূচকের পতন হয়েছে সেটির অনুসন্ধানসহ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন, ডিবিএ প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসি সূত্র।
গত ফেব্রুয়ারির মতো টানা ৬ দিনের পতনের দিনে সোমবার একপর্যায়ে সূচক একশ পয়েন্টের বেশি পড়ে গেলেও দিনের শেষে কমে আসে পতনের দাপট। এদিন ৮৯ পয়েন্ট সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিড় ধরা আত্মবিশ্বাস আরেকটু নড়বড়ে হয়ে যায়।
গত ১১ অক্টোবর থেকে টানা যে পতন শুরু হলো, তাতে ছয় দিনেই কমেছে ২৭০ পয়েন্ট। গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারিও টানা ছয় দিন সূচকের পতন হয়, তবে এ সময়ের পতনের তুলনায় তখন কম ছিল। সে সময় ৬ দিনে সূচক পড়েছিল ২২৮ পয়েন্ট।
গত ২৯ জুনের পর সোমবারই সবচেয়ে কম সংখ্যক শেয়ার হাতবদল হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।
দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২৯ জুন এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে কেবল ৩৩টির দর।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যখন দর সংশোধন শুরু হয়, প্রথমে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেশি কমছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বড় মূলধনি, কোম্পানিগুলোও দর হারাতে থাকে।
এর আগেও এমন অবস্থায় পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গত ২২ মার্চ টানা সূচকের পতনের অস্থির হয়ে উঠে পুঁজিবাজার। তখন গুজব ছিল করোনা মহামারিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের লেনদেন।
পরবর্তীতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার পর স্বাভাবিক হয়ে আসে পুঁজিবাজার। আজকের বৈঠকেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে কী করা যায় সে বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া হবে।
এক ঘণ্টার লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক ঘণ্টায় সূচক বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। ডিএসইর প্রধান এই সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৪ পয়েন্টে।
এই সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩১৪টির। কমেছে ২২টির। আর দর আগের দিনের মতোই আছে ৩৪টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬৮ কোটি টাকা।
এ সময় সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে বস্ত্র খাতের রহিম টেক্সটাইল, বিবিধ খাতের উসমানিয়া গ্লাস, বিমা খাতের ডেল্টা লাইফ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, আর্থিক খাতের ফাস ফিন্যান্স।