ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের (এনপিএসবি) আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করলে দিতে হবে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ। এর মধ্যে গ্রাহক দেবেন ১৫ টাকা। বাকি ৫ টাকা কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক দেবে।
তবে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা জমা দিলে ২০ টাকা খরচ হবে, যার পুরোটাই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে দিতে হবে।
এটিএম, পয়েন্ট অফ সেল বা পস এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ফি ও চার্জ নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ বাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের নতুন নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ ও ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট স্কিমের আওতায় লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের আওতায় একটি ব্যাংকের গ্রাহক ভিন্ন ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে টাকা উত্তোলনে বর্তমানের মতোই গ্রাহক থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নেয়া যাবে। আর ৫ টাকা দেবে ব্যাংক কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক। এ ছাড়া, স্থিতি অনুসন্ধান ও খুদে বিবরণীর জন্য বর্তমানের মতোই গ্রাহক থেকে ৫ টাকা ফি নেয়া যাবে।
পাশপাশি এটিএম থেকে তহবিল স্থানান্তরে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং অন্য ব্যাংকের এটিএমে জমার জন্য ২০ টাকা ফি নেয়া যাবে।
দেশের ভেতরে পস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনে প্রতি লেনদেনে গ্রাহক থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা চার্জ নেয়া যাবে।
এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের পস ব্যবহার করে মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট থেকে মোট লেনদেনের ন্যূনতম ১ দশমিক ৬০ শতাংশ ডিসকাউন্ট বাবদ আদায় করবে। এর ১ দশমিক ১ শতাংশ বিনিময় ফি হিসেবে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক দেবে।
এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তরে লেনদেন প্রতি গ্রাহক থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং বাংলা কিউআরে মার্চেন্ট থেকে মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ চার্জ কাটা যাবে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বিনিময় চার্জ বাবদ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে দিতে হবে।
কার্ডের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবার মূল্য পরিশোধের কর পরিশোধে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কার্ডের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধে গ্রাহক থেকে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা আদায় করবে। এর মধ্যে ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো প্রচলিত ফি দেবে।