ফ্রিল্যান্সার ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণে এখন থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলো কাজ করতে পারবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সেবা খাতের আয় দেশে আনার পদ্ধতি আরও সহজ হলো।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সেবা সরবরাহকারি আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লাটফর্মের সঙ্গে মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনাসহ বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীরা নোশনাল হিসাব করতে পারবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব অনুমোদিত ডিলারের কাছে পাঠানো হয়।
এর আগে সেবা খাতের আয় প্রত্যাবাসনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১১ সালে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে বিদেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারদের (ওপিজিএসপি) সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়।
সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লাটফর্মে কিংবা বিদেশি পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার (এডি) বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব বা নস্ট্রো হিসাবে জমা করা অর্থ ওই ব্যাংক পরে সেবা প্রদানকারী গ্রাহকের হিসাবে জমা করবে।
এক্ষেত্রে এডি ব্যাংকসেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লাটফর্মের সঙ্গে পরিচালিত মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনা এবং বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে তার নোশনাল হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেবে।
এরপর সেবা প্রদানকারীর সেবা কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ ঘোষণা নিতে হবে। প্রদত্ত সেবার বিপরীতে প্রাপ্য আয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন কিংবা নোশনাল ও মার্চেন্ট হিসাবে জমার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তা দেশে আনার বিষয়ে গ্রাহকের নিকট থেকে আন্ডারটেকিং গ্রহণ করবে। সেবা খাতের বিপরীতে প্রাপ্ত আয় গ্রাহকের হিসাবে জমা হবে।
নতুন নির্দেশনায় গ্রাহকের স্থানীয় ডিজিটাল ওয়ালেটে উক্ত অর্থ টাকায় জমা করা যাবে। প্রাপ্ত আয়ের প্রযোজ্য অংশ গ্রাহকের সম্মতি সাপেক্ষে এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমা করতে পারবে। প্রযোজ্য কর কর্তন, পরিশোধের বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়েও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
সেবা আয় দেশে আনার জন্য মার্চেন্ট বা নোশনাল হিসাব ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে দেশের বাইরে অর্থ সংরক্ষণ করা যাবে না। সেবা খাতের এ আয় নির্ধারিত চার মাসের মধ্যে দেশে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।