ভোলা পৌর এলাকার একটি ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়েস্টার্নপাড়ার ঠিকাদার জামাল গোলদারের বাড়ির নিচতলার এক ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকে সোমবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত গৃহকর্মীর নাম সোনিয়া। ১৪ বছরের সোনিয়ার বাড়ি লালমোহন উপজেলার ধলীগড়নগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের প্রয়াত মো. মিলনের মেয়ে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন।
ভোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আজ (সোমবার) দুপুরে জামাল গোলদারের নিচতলার ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী ও বাড়ির কেয়ারটেকারদের ব্যবহৃত টয়লেট থেকে সোনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন ওই বাড়ির লোকজন। ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলছিল সোনিয়ার দেহ। আমরা এসে তার মরদেহ টয়লেটের মেঝেতে পাই।’
জামাল গোলদার বলেন, ‘সকালের দিকে আমার বাসার কেয়ারটেকার শাহাবুদ্দিন বাথরুমের দরজা খুলে সোনিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সবাই মিলে ধরে তাকে নামায়। হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করলে বুঝি সে মারা গেছে। পরে ভোলা সদর থানায় জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাসার বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি মেয়েটির নিথর দেহ পড়ে আছে। মেয়েটি কেন আত্মহত্যা করেছে বুঝতে পারছি না। সে তিন মাস ধরে আমার বাসায় কাজ করছিল। মেয়েটিকে আমার নিজের মেয়ের মতো জানতাম। তাকে আমরা অনেক ভালোবাসতাম। মেয়েটিকে কখনও আমরা মারধর করিনি।’
তবে স্থানীয়রা সোনিয়ার সঙ্গে জামাল গোলদারের পরিবারের আচরণ নিয়ে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা।
তারা জানান, প্রায় সময়ই সোনিয়াকে মারধর করা হতো। মাঝেমধ্যেই তার চিৎকার শুনতে পেতেন তারা। এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
খবর পেয়ে জামালের বাড়িতে আসেন সোনিয়ার মা নাজমা বেগম।
তিনি বলেন, ‘তারা (জামাল) জানিয়েছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে এমন করার কথা না ওর। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
ওসি এনায়েত বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তবে এ ঘটনায় সোনিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।