পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার করোনার বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৯ পয়সা আয় করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি।
তবে উদ্যোক্তা পরিচালকরা লভ্যাংশ পাবেন কম। তারা পাবেন ১২ শতাংশ।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে ১২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ১২টি বোনাস শেয়ার আর সঙ্গে ১৩ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া হবে।
তবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা পাবেন কেবল ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার। তারা নগদ লভ্যাংশ নেবেন না।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৮ পয়সা আয় করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি ছিল বোনাস। সঙ্গে শেয়ার প্রতি এক টানা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়।
এই চূড়ান্ত আয় পরে আগের বছরের ১৩ শতাংশ বোনাস শেয়ারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাঁড়ায় ৫ টাকা ৫৩ পয়সা।
আয় ও লভ্যাংশের পাশাপাশি কোম্পানির সম্পদমূল্যও বেড়েছে। ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৪৪ টাকা ৬৮ পয়সার। সেটি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে এবার দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪১ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর। অর্থাৎ সেদিন যাদের হাতে শেয়ার থাকবে, তারাই এই লভ্যাংশ পাবেন।
আগামী ৫ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। করোনাকালে এই সভা হবে অনলাইনে।