পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স গত বছরের তুলনায় আরও বেশি আয় করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছে।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি প্রান্তিকেই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করেছে কোম্পানিটি।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩৩ পয়সা।
তিন প্রান্তিক মিলিয়ে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা।
এর আগের দুই প্রান্তিকেও কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় বেশি আয় করতে পেরেছিল।
গত জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। ২০২০ সালে একই সময়ে এই আয় ছিল ৯৯ পয়সা।
এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে আয় ছিল ৭০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।
এর আগে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৫ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কন্টিনেন্টালে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা, যা জুন শেষে ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।
২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৯ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা করে নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে ৪টি বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে শেয়ারধারীরা শুরুতে বেশ মুনাফা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে হতাশ হয়েছেন।
২০২০ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এক দফায় এবং চলতি বছরের মার্চের শেষ প্রান্তিক থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় শেয়ার মূল্যে ঊর্ধ্বগতি থাকলেও গত চার মাস ধরে দাম কমছে।
গত বছরের মে মাসে শেয়ার মূল্য ২০ টাকার নিচে থাকলেও অক্টোবরে তা ৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরে তা কমতে কমতে এক পর্যায়ে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ৩০ টাকায় নেমে আসে। এরপর আরেক দফা উত্থানে মে মাস নাগাদ আবার ৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সা।