বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি জালিয়াতির প্রধান আসামির জামিন

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:২৬

নথি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নথিটি গেলে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে একজনের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশের নামে প্রতারণার অভিযোগ ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

দুদকের করা এই প্রতারণার মামলায় সোমবার জামিন পেয়েছেন প্রধান আসামি শাহজাহান।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে তিনি আইনজীবী শাহীনুল ইসলাম অনির মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শাহজাহানের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ।

মামলাটির নথি থেকে জানা যায়, গত বছর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। যাদের নাম প্রস্তাব করা হয় তারা হলেন- ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডোর এম আবদুস সালাম আজাদ।

সেই প্রস্তাবপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে ওই প্রস্তাবপত্র। এ সময় তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন না পাওয়ার গোপনীয় তথ্য ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে ফোনে জানিয়ে দেন।

পরে ২০২০ সালের ১ মার্চ নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪ নম্বর গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। পরে এই নথিতে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ বিকৃত করেন আসামিরা। এই কাজের জন্য ফাতেমাকে তারা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেন বলে অভিযোগ।

৩ মার্চ আসামিরা নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠালেও এক পর্যায়ে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। জালিয়াতির ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদি হয়ে গত ৫ মে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগ দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী পরে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ায় অভিযুক্তরা হলেন- নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদ ও রবিউল আউয়াল।

এ বিভাগের আরো খবর