পটুয়াখালীতে কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগে এক তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ৩ অক্টোবর অভিযোগ দেন ওই যুবক। আদালতের নির্দেশে রোববার রাতে মামলাটি নেয় পটুয়াখালী সদর থানা।
মামলার বাদী মো. নাজমুল আকন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা সদরে। আসামি তরুণীর বাড়িও একই উপজেলায়।
নাজমুলের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, আসামি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাজমুলকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
নাজমুল রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ৭-৮ জন অপরিচিত লোক তাকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে তার কাছ থেকে একটি নীল কাগজে সই নেয়া হয়। পরে ওই দিনই তাকে শহরে ছেড়ে দেয়া হয়।
নোমানের ধারণা, ওই কাগজ দিয়ে তারা একটি কাবিননামা তৈরি করবেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর নাজমুল গত ৩ অক্টোবর পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক মামলাটি নথিভুক্ত করতে পটুয়াখালী সদর থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলার কাগজপত্রের সঙ্গে বিয়ের একটি ভিডিও ক্লিপও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়েছেন নাজমুলের আইনজীবী।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, নাজমুল ও ওই তরুণী পাশাপাশি দুটি চেয়ারে বসে আছেন। নাজমুলের পেছনে দাঁড়ানো একজন তার ঘাড়ের দুই পাশ ধরে আছেন। অন্য পাশ থেকে একজন তরুণী ও নাজমুলের মুখে মিষ্টিজাতীয় কিছু তুলে দিচ্ছেন। সেখানে নাজমুলকে চুপচাপ দেখা গেলেও তরুণী ছিলেন চঞ্চল।
এ বিষয়ে তরুণী বা তার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, রোববার আদালতের নির্দেশের কপি পাওয়ার পরই মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি কাজও শুরু করেছেন।