বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী: চট্টগ্রাম ডিআইজি

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৪০

গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ছড়াতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান করেন ডিআইজি আনোয়ার।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিক্রিয়াশীল একটি গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এসব হামলা করছে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দির পরিদর্শনকালে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিআইজি।

তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরি কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।’

গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ছড়াতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান করেন ডিআইজি আনোয়ার।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘(ফেসবুকে) বিভ্রান্তিমুলক কিছু দেখলেই বিশ্বাস করবেন না এবং লাইক কমেন্ট করবেন না। এ ধরনের পোস্ট ঘটনাগুলোকে তরান্বিত করে।’

অপরাধিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ‘পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে যাতে কোনো নিরপরাধ লোকের হেনস্তা না হয়।’

ফেনীর পুলিশ সুপারের বদলীর বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের এই ডিআইজি বলেন, ‘অন্য কোনো কারণ নয়, এটি বিভাগীয় রুটিন ওয়ার্ক।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনীর পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, পৌর কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন, শহরের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর উত্তরপাড়ের একটি পূজামণ্ডপে গত বুধবার কোরআন শরিফ পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পূজামণ্ডপে হামলা হয়।

এর জেরে গত শনিবার ফেনী শহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সহকারী পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ২৯ জন আহত হন। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ওইদিন বিকেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশ শুরুর পরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ।

স্থানীয়রা জানান, শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু সম্প্রদায়। এর পাশেই ফেনী বড় জামে মসজিদের অবস্থান। সেখানে আসরের নামাজের পর মুসল্লিদের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এ সময় জেলার সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রিয়াদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর