বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারের দাবি নিয়ে একাই দাঁড়ালেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:০০

‘দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমাল, ঘরবাড়ি, উপাসনালয়ের ওপর হামলা হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক হিসেবে এর প্রতিবাদ জানাই। যেহেতু তারা এ দেশের নাগরিক, আমাদের মতোই দেশের সবকিছুতে তাদের অবদান রয়েছে, তাদের রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে চোখে কালো কাপড় বেঁধে, প্ল্যাকার্ড হাতে একাই দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষক।

বলেছেন, তিনি তার জায়গা থেকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ করেছেন। আশা করেন, অন্যরাও এভাবে এগিয়ে আসবেন আর সরকার এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

এই শিক্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করেন। পুরোটা সময় চোখ বাঁধা অবস্থায় প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে লেখা ছিল, ‘দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমাল, ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন।’

গত বুধবার দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়াকে কেন্দ্র করে সেই মণ্ডপটি ভাঙচুর করা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় মন্দির, মণ্ডপে চলে হামলা। এর মধ্যে রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুনও দেয়া হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক এসব হামলার প্রতিবাদও করছেন বহুজন। এমনকি ধর্মীয় অনেক নেতাও সোচ্চার হয়েছেন। তারা বলছেন, যে মুসলমানরা এ ধরনের হামলা করছেন তারাই ইসলামের অবমাননা করছেন।

সরকারও এসব ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কয়েক হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে দুই শতাধিক। তবে এর মধ্যেই গতরাতে রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাটি নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

প্রতিবাদী শিক্ষক আতিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমাল, ঘরবাড়ি, উপাসনালয়ের ওপর হামলা হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক হিসেবে এর প্রতিবাদ জানাই। যেহেতু তারা এ দেশের নাগরিক, আমাদের মতোই দেশের সবকিছুতে তাদের অবদান রয়েছে, তাদের রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এই দেশ কোনো একক ধর্মাবলম্বী বা গোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন হয়নি, এ বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন এই শিক্ষক।

সহিংসতায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের স্বাধীনতা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর নয় বরং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। এই স্বাধীন দেশে আমরা অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা দেখতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর