বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাইরাল ভিডিও কারসাজির, আ.লীগকে জাহাঙ্গীরের ব্যাখ্যা

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৪৪

২২ সেপ্টেম্বর ৪ মিনিটের ও ২৫ সেপ্টেম্বর ৫০ মিনিটের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, ঘরোয়া আলোচনায় মেয়র তার ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে কথা বলছেন। ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মেয়র মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পরে ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের ব্যাখ্যা চায় আওয়ামী লীগ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের করা নোটিশের জবাব দিয়েছেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এতে তিনি দাবি করেছেন, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি কারসাজি করা।

সেপ্টেম্বরের শেষে প্রথমে চার মিনিটের ও পরে ৫০ মিনিটের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

২২ সেপ্টেম্বর ৪ মিনিটের ভিডিওটি ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীরের শাস্তির দাবিতে রাজপথে নামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। সে সময় মেয়র ছিলেন দেশের বাইরে। পরদিন তিনি দেশে ফিরে এই ভিডিওকে বানোয়াট দাবি করেন। যারা ভিডিও ছড়িয়েছেন, তাদেরকে সেটি সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, নইলে তিনি মামলা করবেন।

তবে ২৪ সেপ্টেম্বর নিজের অনুসারীদেরকে নিয়ে বোর্ডবাজারে সমাবেশ করলেও মেয়র পরে কোনো মামলা করেননি।

এ নিয়ে গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠার পর ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। এতে তাকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়।

বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই মেয়র জাহাঙ্গীর তার দলের নোটিশের জবাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে।

তিনি বলেন, ‘শোকজের জবাব অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছি।’

ভিডিও ভাইরালের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একাংশের মিছিল। ফাইল ছবি

কবে এবং কার নিকট শোকজের জবাব দিয়েছেন এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘এটা তো একেবারে আমাদের প্রধানের (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাদের (দলের) সভাপতির নিকট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

নোটিশের জবাবে কী বলেছেন- এই প্রশ্নে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি বলেছি এটা মিথ্যা, বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্য, ছোট করার জন্য এটা করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেই অপেক্ষা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার যিনি প্রধান, আমার গার্জিয়ান (অভিভাবক), উনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই হবে।’

শোকজের জবাবের পর ক্ষমতাসীন দল মেয়র জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় তা নিয়ে গাজীপুরে চলছে নানা আলোচনা।

দলের একটি অংশ প্রকাশিত রেকর্ডের বক্তব্যের জেরে মেয়রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বহিষ্কার চায়। তবে মেয়রের অনুসারীরা বলছেন, গত তিন বছরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়রের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল সুপার এডিট করা বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে।

ভাইরাল দুই ভিডিওতে বেকায়দায় জাহাঙ্গীর

২২ সেপ্টেম্বর ৪ মিনিটের ও ২৫ সেপ্টেম্বর ৫০ মিনিটের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, ঘরোয়া আলোচনায় মেয়র তার ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানেই আপত্তিকর নানা কথা উঠে আসে।

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মেয়র মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, হেফাজতের প্রয়াত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে তার সখ্য ও রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করছেন মেয়র জাহাঙ্গীর।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে।

এ বিভাগের আরো খবর