রংপুরের পীরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর আসন, তাই সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘পীরগঞ্জকে বেছে নেয়া খুবই স্বাভাবিক। তারা এমন একটি জায়গা বেছে নিয়েছে যাতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। সে উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর আসন বেছে নেয়া। বাড়িঘরে আগুন দেয়া।’
সোমবার শেখ রাসেল দিবসে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রের টিজার প্রকাশের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসব ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতসহ অন্য ধর্মান্ধ গোষ্ঠী জড়িত বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
এসব হামলা ও বিশৃঙ্খলা রুখতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থাকার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। কুমিল্লার ঘটনাটি ঘটিয়ে সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তার ডালপালা ছড়ানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য এমনটা করা হয়েছে। অন্য কোনো উপায়ে তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারছিল না বলেই দুর্গাপূজার সময়টাকে বেছে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ গোষ্ঠী সব সময় দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিশৃঙ্খলা করেছে, সব শেষে দুর্গাপূজায় তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এগুলো হয়েছে। সরকারও বসে নেই, কঠোর হস্তে দমন করছে ৷’
সরকারের নেয়া পদক্ষেপের উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে শুধু ঢিল ছুড়েছে, একটি ব্যানার ছিঁড়েছে সে জন্য এক শ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কয়েক শ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালীতেও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের সারা দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’
চাঁদপুরের ঘটনার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধেই পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সরকার নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব করছে। তাই দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও অসম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি অনুরোধ করে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দলের সকল নেতা-কর্মীকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থাকার জন্য তারা দাঁড়িয়েছে। আরও বহু জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। দলের নেতা-কর্মীরা পাশে থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।’