ই-কমার্স খাতসংশ্লিষ্টদের কীভাবে নিয়মতান্ত্রিক পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে আগামী এক মাসের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ-সম্পদ উদ্ধার করে গ্রাহকদের ফেরত দেয়ার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে।
এসব বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক এসংক্রান্ত কমিটির প্রথম বৈঠকে জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার এ বৈঠকে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিস্তারিত ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আমরা একটা প্রতিবেদন দেব। ওই প্রতিবেদনে থাকবে দেশের যেসব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তাদের সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক পরিচালনায় কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হবে এবং লাইসেন্স প্রদানের যোগ্যতা ও প্রাপ্তির সক্ষমতা কী হবে, সে বিষয়টিও। এ নিয়ে ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটিকেও বিষয়টি নিয়ে কাজ করার ম্যান্ডেট দেয়া হয়েছে।’
অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান জানান, ই-কমার্সে আর্থিক লেনদেনের তথ্যাদি বিশেষ করে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেন অর্থাৎ গ্রাহকরা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে পরিমাণ টাকা পায় তা কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তারও একটি সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
ই-কমার্স লেনদেনে যেসব গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাওনা প্রাপ্তির পাশাপাশি লেনদেনে কীভাবে স্বার্থ সুরক্ষা দেয়া যায় তারও একটি করণীয় নির্ধারণ করে দেয়া হবে প্রতিবেদনে।
ভবিষ্যতে দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালিত হবে তার একটি রূপরেখা ঠিক করবে মন্ত্রিপরিষদের গঠিত কমিটি। এর মাধ্যমে সব ই-কমার্সের আর্থিক লেনদেন একটি পদ্ধতিতে বা একটি গেটওয়ের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় তার একটি সুপারিশ থাকবে প্রতিবেদনে।
সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতিবেদন দেয়ার পর সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ডিজিটাল ই-কমার্স নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা দেয়া হবে।