বগুড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর কিশোরী ও তার মাকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে দুদকের মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও এ কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম সোহেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান মিলন।
তুফান সরকারের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদকের মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন তুফান। এ মামলায় আমরা জামিন চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেছে।’
এর আগে তুফান সরকার ছয় মাস কোথাও জামিন চাইতে পারবে না হাইকোর্টের এমন আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ জুন আপিল বিভাগ তার আবেদন খারিজ করে দেয়।
ফলে তিনি ৬ মাস কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবে না উল্লেখ করে গত ১ মার্চ আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান। দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি।
এই কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই থেকে জেল হাজতে আছেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ জুলাই তাকে দুদকের মামলায় আটক দেখানো হয়।