বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিইসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন বার্ষিক পরীক্ষায়

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১০:২৪

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘পিইসি পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন হয়ে ফিরে এসেছে। প্রস্তাবে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।’

চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন হয়ে এসেছে। তাই চলতি বছরের পিইসি-ইইসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এখন বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবেও উল্লেখ ছিল।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘পিইসি পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন হয়ে ফিরে এসেছে। প্রস্তাবে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।’

কোন প্রক্রিয়ায় চলতি বছরের পিইসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আশা করছি, এ অবস্থা থাকলে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, যদি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফলাফল দেবে।

একই সুরে কথা বললেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চলতি বছরের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষার পরির্বতে স্ব-স্ব মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনাক্রমে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা যেতে পারে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছিলেন, ‘শুরু থেকে আমরা পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে ছিলাম, কিন্তু অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির পিইসি-ইইসি পরীক্ষা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’

গত ২৮ সেপ্টেম্বর গত বছরের মতো চলতি বছরও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেছিলেন, ‘মনে হয় না জেএসসি নেয়ার সুযোগ পাব। সামনেই এসএসসি-এইচএসসি আছে। তবে আমাদের শ্রেণি সমাপনীটা সব ক্লাসে হবে। সেটা অষ্টম শ্রেণিরও হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। পরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষাও চালু করা হয়। প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এসব পরীক্ষায় অংশ নেয়।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না।

শুধু চলতি বছরের ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণিতে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিন ক্লাসে আসতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর