বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংঘর্ষে জড়ানোয় ১২ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার চবির

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:৩২

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাছাই বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ হেলথ, রেসিডেন্স, অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে দুই জনকে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১২ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় রোববার রাতে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

সভায় উভয় গ্রুপ থেকে দুই জনকে ১ বছর করে এবং ১০ জনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর নেতৃত্বাধীন ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের ৬ জনকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের নেতৃত্বাধীন ‘সিএফসি’ গ্রুপের ৬ জন কর্মী রয়েছেন।

’সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম নায়েম, একই শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের আকিব জাভেদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয় ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ।

এদের মধ্যে আশরাফুল আলম নায়েমকে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

‘সিএফসি’ গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন, আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা খবির সাদাফ, একই বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অহিদুজামান সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিল হোসেন ও আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম।

তাদের মধ্যে সাদাফকে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাছাই বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ হেলথ, রেসিডেন্স, অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে দুই জনকে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বহিষ্কারের মেয়াদ রোববার থেকেই কার্যকর হবে৷ এ সময় বৃহষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলে অবস্থান করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিহাব আরমান মানিক নামে ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন ‘সিএফসি’ গ্রুপের কর্মীরা। এ নিয়ে সেদিন রাতেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

তারা জানান, মারধরের ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিএফসির কনিষ্ঠ কর্মীরা শাহ আমানত হলে ঢুকতে গেলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের তিনজন এবং সিএফসি গ্রুপের একজন আহত হন।

ওই ঘটনার জেরেই রোববার বিকেলে ফের সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপ। এতে দুইজন আহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর