বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক যুগ পর সপদে ফিরলেন অধ্যক্ষ

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:২৭

তোফজ্জলের আইনজীবি এ এ এম আমানুল্লাহ ফরিদ জানান, ২০০৯ সালে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় এবং কলেজ থেকে তাকে বের করে দেয় তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ। ওই সময় কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন তৎকালীন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল মোহাম্মেদ।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ পদে দীর্ঘ ১২ বছর ৫ মাসের আইনি লড়াই শেষে চাকরি ফেরত পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দ।

২০০৯ সালে জোরপূর্বক কলেজ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে আদালতের স্মরণাপন্ন হন তোফাজ্জল।

গাজীপুরের পঞ্চম জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক শাহানারা আক্তার গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেন তোফাজ্জলের কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের।

এরপর শনিবার কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে কলেজে যোগদানের আবেদন করেন তোফাজ্জল।

তোফাজ্জলের আইনজীবী এ এ এম আমানুল্লাহ ফরিদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তোফাজ্জল নিউজবাংলাকে জানান, ২০০৯ সালে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কলেজ থেকে তাকে বের করে দেয় তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ। ওই সময় কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন তৎকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল মোহাম্মেদ।

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও পরিচালনা পরিষদকে ব্যবহার করে ওই সময় কলেজের উপাধ্যক্ষ নুরুন্নবী আকন্দ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন।

সাবেক অধ্যক্ষ তোফাজ্জল বলেন, ‘বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে কলেজে প্রবেশ করতে না পেরে ২০১০ সালের ৩ মে গাজীপুর আদালতে দেওয়ানী মামলা করি। পরে মামলাটি বদলি হয়ে পঞ্চম সিনিয়র জজ আদালতে যায়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৫ সালে তিনি (তোফাজ্জল) অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালে কলেজের পরিচালনা পরিষদের এক সভা চলাকালীন কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়। এরপর পরিচালনা পরিষদ রেজুলিউশন তৈরি করে নুরুন্নবী আকন্দকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়।’

তোফাজ্জল বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে এ ঘটনা আমার কাছে চরম অপমানজনক ছিল। বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। সরকারের বিধি অনুযায়ী আমার চাকরির বয়স আছে আর সাড়ে তিন মাস। আদালতের আদেশে সত্যের জয় হয়েছে। বাকি কয়েক মাস আমি সুশৃঙ্খলভাবে সম্মানের সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা চাইছি।’

কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (তোফাজ্জল) মামলার আদেশের কপিসহ যোগদানের অনুমতি চেয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষ অর্থাৎ কলেজের পক্ষ থেকে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে একটি আপিল করা হয়েছে। উচ্চ আদালত আপিলের বিষয়টি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত জেলা আদালতের রায়টি অকার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক মাসুম।

তিনি বলেন, ‘মামলার বাদী অধ্যক্ষ থাকাকালীন ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ কলেজ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের ১৪ মাস পর ২০১০ সালের ৩ মে চাকরি ফিরে পেতে গাজীপুর আদালতে মামলা করেন তিনি।’

এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘রোববার গাজীপুর জেলা জজ আদালতে আপিল করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুন্নবী আকন্দ। আপিলের কপি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য তা আমলে নিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর