ফরিদপুর শহরে ছোটন বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি এ এইচ এম ফুয়াদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারুক হোসেন রোববার সন্ধ্যায় জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক ফুয়াদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ফুয়াদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ছিলেন।
এর আগে পরপর দুই দফায় চার দিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে নেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, মানি লন্ডারিং, ছোটন বিশ্বাস হত্যাসহ আট মামলার আসামি ফুয়াদ। তাকে ১২ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকের ৮ নম্বর সড়কের ১৮৩ নম্বর বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশ।
১৩ অক্টোবর ফুয়াদকে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ফরিদপুর শহরের ছোট বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফফার জানান, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালতের নির্দেশে রাতেই ফুয়াদকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি (পরে বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ঢাকার সিআইডির করা ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ফুয়াদ।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, ২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলার আসামিদের ধরতে একই বছরের ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়। ওই রাতে ফরিদপুর শহরের বদরপুরে সাংসদ খন্দকার মোশাররফের বাড়ি থেকে সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন সেখান থেকে পালিয়ে যান ফুয়াদ।