রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যায় পার্বত্য আঞ্চলিক দলগুলোকে দায়ী করেছেন জেলার সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার বিকেলে গণমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে দীপংকর বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে আঞ্চলিক দলগুলো বেছে বেছে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা নেথোয়াই মারমাকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে দেশের গণতন্ত্রকে। নেথোয়াইয়ের অপরাধ ছিল গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন। এর আগে জুরাছড়ির অরবিন্দ চাকমা, বিলাইছড়ির সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যাসহ অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী কার্যক্রম কিছুদিন বন্ধ ছিল। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আবারও সহিংসতা শুরু করেছে।’
কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নে শনিবার রাত ১টার দিকে একদল অস্ত্রধারী নেথোয়াই মারমার বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি ১১ নভেম্বরের চিৎমরম ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
এই হত্যায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছেন কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুচাইন চৌধুরী।
রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নেথোয়াইয়ের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনার জেরে ভোটের তারিখ পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর করা হয়েছে বলে রোববার বিকেলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার।