চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের সামনে রোববার ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষ একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ‘সিএফসি’ গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এর আগে ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের এক কর্মীকে মারধরের জেরে এ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত হন চারজন।
আহত দুজন হলেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও সিএফসি পক্ষের নেতা আল আমিন রিমন এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ নাইম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিহাব আরমান মানিক নামে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ নিয়ে সেদিন রাতেই সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
- আরও পড়ুন: চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
তারা আরও জানান, মারধরের ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিএফসির কনিষ্ঠ কর্মীরা আমানত হলে ঢুকতে গেলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের তিনজন এবং সিএফসি গ্রুপের একজন আহত হন।
ওই ঘটনার জেরেই রোববার ফের সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপ।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে জানান, আহতদের কেউই চিকিৎসা নিতে আসেননি। তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন সে বিষয়েও জানেন না তিনি (চিকিৎসক)।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হলেও দুই পক্ষের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। দেখি বিষয়টা কীভাবে সমাধান করা যায়।’
সিক্সটি-নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।