ঝালকাঠি পৌর এলাকায় পুকুরে পড়ে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছেন।
শহরের বাসন্ডা কায়েদ সরণিতে আবুল হোসেনের বাড়ির পুকুরে রোববার দুপুরে ডুবে যায় শিশু তায়েবা আক্তার।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালা বেগম জানান, মা ডালিয়া বেগমের সঙ্গে আবুল হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যায় শিশু তায়েবা। বেলা দেড়টার দিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ডালিয়া।
পরে ওই বাড়ির পুকুরে শিশুটিকে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেন।
সেখানকার চিকিৎসক বেলা ২টার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করলে বাসন্ডা এলাকার গাউসুল আযম দরবার সড়কের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাউন্সিলর আরও জানান, কিছুক্ষণ পরে শিশুটি খিঁচুনি দেয় ও চোখ মেলে তাকায়। স্বজনরা আবারও শিশুটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার পরিবর্তন হয়ে যায়।
ওই চিকিৎসক বলেন, ৩০ মিনিট আগে শিশুটি মারা গেছে।
এরপর উত্তেজিত এলাকাবাসী ও স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ করেন।
পরে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
স্বজনরা জানান, শিশুটিকে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও নেয় হয়। সেখানে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করার পর বিকেল ৫টার দিকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হাসিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেলা সোয়া ৩টার দিকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার আনুমানিক ৩০ মিনিট আগেই বাচ্চাটি মারা যায়। আমি অক্সিজেন দিয়ে চেষ্টা করেছি। এর আগে বেলা ২টার দিকে যখন শিশুটিকে আনা হয়েছিল, তখন আমার ডিউটি ছিল না।’