বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এই মুহূর্তে ভোট হলে শেখ হাসিনা জিতবেন: কাদের

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:১২

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বুঝে ফেলেছে শেখ হাসিনাকে ভোটে হারানো যাবে না। তারা জেনে গেছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে জনগণ সায় দেবে না। কারণ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি।’

দেশে এই মুহূর্তে ভোট হলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে জিতবেন বলে মন্তব্য করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বুঝে ফেলেছে শেখ হাসিনাকে ভোটে হারানো যাবে না। তারা জেনে গেছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে জনগণ সায় দেবে না। কারণ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি।’

রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে বিশেষ অনুদান এবং শিক্ষা-উপকরণ দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জামায়াত-বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন, জামায়াত-বিএনপি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এসব আসলে গুজব। জামায়াত আর বিএনপির ভেতরে ভেতরে মধুর পিরিত রয়েছে। তাদের মাঝে যে বন্ধন তা কোনো দিনও ছিন্ন হওয়ার নয়।

তিনি বলেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। কাজেই জামায়াতকে নিয়েই তারা অগ্রসর হবে। আর জামায়াতেরও বিএনপি ছাড়া কোনো নির্ভরযোগ্য ছাতা নেই।

গত ১২ বছরে দুর্গাপূজায় দেশের কোনো পূজামণ্ডপে কোনো সহিংস ঘটনা হয়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ১২ বছরে ১২টি দুর্গাপূজা হয়েছে। ৩০-৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে এসব পূজা হয়েছে। এই ১২ বছরে কোথাও কোনো ছোট সহিংস ঘটনাও হয়নি।

‘তবে সম্প্রতি যা ঘটেছে তা নিয়ে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। এখন আমরা সতর্ক। এখন থেকে কোথাও এমন অপশক্তিকে মাথা তুলতে দেয়া হবে না। আমরা প্রস্তুত, আমাদের তরুণসমাজও প্রস্তুত।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চোর অপবাদ দিয়ে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ফান্ডিং বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের চোখে আঙুল দিয়ে বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা চোর নয়, বীরের জাতি। তার প্রজ্ঞা, মেধা ও সাহসিকতার জন্য সারা বিশ্ব শেখ হাসিনাকে সম্মান করে।’

১৯৭৫ সালের পরে শেখ হাসিনার চেয়ে সংখ্যালঘুবান্ধব (মাইনরিটি-বান্ধব) আর কোনো সরকার এ দেশে আসেনি বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

‘আগামী বছর চারটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। এটাই বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির গাত্রদাহের কারণ। এ দেশের সব সংখ্যালঘুকে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা দিয়েছেন। অপকর্ম করে কেউ রেহাই পায়নি। যারা অপকর্ম করে তারা কোনো দলের নয়, এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা হবে।’ যোগ করেন কাদের।

অনুষ্ঠানে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ শেখ রাসেল’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্যসচিব সুজিত রায় নন্দী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর