বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সরকার: ফখরুল

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৩০

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হামলা, ভাঙচুর, সংঘাত ও সংঘর্ষকে উসকে দিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে উঠেছে সরকার।’

সরকারের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উসকানিতে দুর্গাপূজার উৎসবের মধ্যে দেশব্যাপী রক্তাক্ত ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। বলেছেন, ফায়দা লুটতেই দুই সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সরকার।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘হামলা, ভাঙচুর, সংঘাত ও সংঘর্ষকে উসকে দিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে উঠেছে সরকার।’

সরকার সাম্প্রদায়িক সংঘাতের উপকরণ ছড়িয়ে সহিংস রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে উদ্ধার-কর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেতে চায় বলে মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগে কিছুই ঢেকে রাখা যায় না। অবগুণ্ঠন উন্মোচিত হয়ে সত্য প্রকাশ পাবেই। কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ ধরে সারা দেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তা যে সরকারের ন্যক্কারজনক পরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটি আজ জনগণের কাছে স্পষ্ট।’

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই নেতার মতে, গণবিরোধী নীতির কারণে সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতায় দেশে নৈরাজ্য ভয়ালরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশের মানুষ এখন জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে ভীতি ও শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।

চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অতিরঞ্জিত শক্তি প্রয়োগের কারণে জীবনহানি, গুরুতর আহতসহ দেশের বিভিন্ন জনপদ রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দায়িত্বহীনতা এবং তাদের নির্বিকার ভূমিকার কারণেই বিভিন্ন এলাকার মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।’

বিএনপির মহাসচিব জানান, কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনার জের ধরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, হামলার চেষ্টাসহ নানাবিধ সংঘাত-সংঘর্ষ এবং পুলিশি আক্রমণে বিক্ষুব্ধ মানুষের ওপর লাঠিপেটা, গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ এবং বেধড়ক গ্রেপ্তারসহ বর্বরোচিত আক্রমণ হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা শুধু নির্দয় আচরণই নয়, কাপুরুষোচিত। এই অরাজকতা সৃষ্টিকারীরা বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে ম্লান করল। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

‘২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারের রামু-উখিয়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, নেত্রকোণাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে আক্রমণ, লুটপাট চালানো হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীরা প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্গাপূজার প্রাক্কালে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশ্বাস দেয়ার পরও কেন পবিত্র কোরআন অবমাননা, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটল। কুমিল্লার সাধারণ মানুষের মতো আমরাও একমত, পুলিশবাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নানুয়া দীঘির পাড়ের মণ্ডপের ঘটনাটি নির্মম অমানবিকতার দিকে গড়াত না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন একটি প্রশ্ন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরিফ পূজামণ্ডপে নিয়ে গেছে? সরকারের নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাসের পর কেবল ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট দুষ্টচক্র ছাড়া দেশের জনগোষ্ঠীর কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ই এই কদর্য কাজ করবে না বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।…অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতি আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর