কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনায় রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় জামায়াত-শিবির সন্দেহে গ্রেপ্তার ৯ জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী শনিবার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
আদালতে রমনা মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য মো. সোলাইমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আদালত এক কিশোর আসামিকে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেয়।
রিমান্ডের আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মো. হাচান, মো. হোসেন ওরফে টিপু, মো. বসির উদ্দিন, মো. নাজমুল হোসেন, মো. বিল্লাল, মো. নিরব হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও রাশেদুল ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইউনুচ মোল্লা শনিবার সন্ধ্যায় আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার আসামিসহ ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার জন (বেশিরভাগ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী, বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও তাদের অনুসারী) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজে ছদ্মবেশে সমবেত হয়। নামাজ শেষে তারা আকস্মিক এক মিছিল বের করে রমনা মডেল থানাধীন নাইটিঙ্গেল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
পুলিশ নিবৃত্তের চেষ্টা করলে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ওপর হামলা চালানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেয়। তাদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় এসআই আলমগীর হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।