দেড় বছরের বেশি সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ছাত্রদল। তবে আগে থেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যান্টিন নিজেদের দখলে রাখায় সেখানে বসতে পারেনি তারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার সকাল ১০টায় মধুর ক্যান্টিনে আসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে ক্যান্টিনের ভেতরেই ঢুকতে পারেননি তারা।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিনের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনও।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম। এই সময়ের মধ্যে মধুর কেন্টিনেও সব ধরনের জন সমাগম বন্ধ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় খুলতেই আবার সরব হয়েছে মধুর ক্যানটিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের সভাপতি আসার পর নেতাকর্মীদের একটি অংশ মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগান শুরু করেন। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে যান। পরে তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক শোডাউন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাচ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, যুগ্ম-সম্পাদক আরিফুল হক, মাহবুব মিয়া, রিয়াদ ইকবাল, নিজাম উদ্দিন রিপন, শরিফুল ইসলাম, সুলতানা জেসমিন জুই।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-আহবায়ক আকতার হোসেন, নাসির উদ্দিন, জহির উদ্দিন আহমদ, আশরাফুল ইসলাম খান আনিক, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, শাফি ইসলাম, এজ্জাজুল কবির রুয়েল, সোহেল রানা, মুস্তাফিজুর রহমান আহ্বায়ক সদস্য শরীফ প্রধান, এস এম দিদারুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মাসুম বিল্লাহ, মামুন, আবু হান্নান, ফারহান আরিফ, নাসির উদ্দিনসহ হল পর্যায়ের অনেক নেতা।
মধুর ক্যান্টিনে আসার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘অনেক দিন আমরা মধুর ক্যান্টিনে আসিনি। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সোচ্চার ছিলাম। এসময়ে মধুর ক্যান্টিনের যে রাজনীতি চর্চা সেটি আমরা করিনি। আজকে থেকে আমরা এটি শুরু করেছি।৷ সামনেও এটি অব্যাহত থাকবে।’