বরিশালের গৌরনদীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে ‘আপত্তিকর’ কমেন্ট করার জেরে হিন্দুদের তিনটি মন্দির ও কিছু বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতের ঘটনায় যে বাড়িতে হামলা হয়েছে সেই বাড়ির বাসিন্দা সুভাষ বৈদ্য বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬০ জনের নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও অভিযান অব্যহত রয়েছে।
ওসি বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে। সেই মামলায় মহানন্দ বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, পবিত্র কোরআন নিয়ে ফেসবুকের একটি পোস্টে ‘আপত্তিকর’ কমেন্ট করেন মহানন্দ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি স্থানীয় কিছু মুসলিমের নজরে এলে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে স্থানীয় মুসলিমরা মহানন্দকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
কিন্তু ওই রাতেই স্থানীয় কয়েকজন মিলে ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির এবং জগদীশ বৈদ্যর বাড়ির হরি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই এলাকার হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বৈদ্য জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে একদল উত্তেজিত জনতা লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে মন্দিরের প্রতিমা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।