বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নাম্বার স্পুফিং (মোবাইল নাম্বারের আগে পিছে ডিজিট যুক্ত করে কল) করে যুবলীগের জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদের কল দিচ্ছে একটি চক্র। কল করে তারা টাকা চাইছে।
কোনো একজন নেতা অসুস্থ, তার চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন- কল করে এমন কথা বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন জনের কাছে এ ধরনের কাল যাচ্ছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যানের নম্বর থেকে কল পেয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী প্রতারকদের দেয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
নেতা-কর্মীদের পাঠানো অর্থ এজেন্টের কাছ থেকে উত্তোলন না করে এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করছে চক্রের সদস্যরা।
এভাবে দেশের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের কাছে টাকা চাওয়ায় বেশ বিব্রতর পরিস্থিতিতে আছেন শেখ ফজলে শামস পরশ। এমন কোনো ফোন পেলে আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নিউজবাংলাকে পরশ বলেন, ‘আমার মোবাইল নম্বর স্পুফ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ফোন করে টাকা চাইছে প্রতারক চক্রটি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ওদের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। এ ধরনের ফোন কলে কেউ কোনো ধরনের লেনদেন করবেন না।’
এই স্পুফিংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বনানী থানায় গতকাল একটি মামলাও হয়েছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরাসহ গোয়েন্দাদের অন্যান্য ইউনিট এই স্পুফিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছি।’
জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সচেষ্ট একটি ইউনিটের কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার (পরশ) নম্বরটা স্ফুফ করে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে সমানে। অনেকটা ক্লোনিংয়ের মতো। তবে কখনও কোনো নম্বর ক্লোন করা যায় না। নম্বরের কাছাকাছি একটা নম্বর ক্রিয়েট করে।’
তিনি বলেন, ‘ফোনের একটা সমস্যা হলো- এক ডিজিট প্লাস মাইনাস করে কল আসলে ফোন সেটা ধরতে পারে না। আর কল আসার পর অনেকে সেটা হয়তো বুঝতেও পারেন না।’
প্রতারকরা বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর স্পুফ করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে। এর আগে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের নম্বর স্পুফ করেও প্রতারণা করেছে একটি চক্র। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগ স্পুফকারীকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তারও করে।