চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন চালু হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিকে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে শনিবার সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি ট্রেন ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুপুর দেড়টা ও আড়াইটায় ফের চবি ক্যাম্পাস থেকে চট্টগ্রাম শহরে যায় দুটি ট্রেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, সীমিত পরিসরে শাটল চালু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও পরীক্ষার সময় বিবেচনা করে এই সময়সূচি পরিবর্তন হতে পারে।
এ ছাড়া নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ৪৫১ জনকে টিকা দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার।
এ সময় চবি উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা নিশ্চিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম দিনে ৪৫১ জনকে সিনোফার্মের টিকা দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন এক হাজার জনকে টিকা দেয়া।
‘হাটহাজারী কেন্দ্রে নিবন্ধন করা সবাইকে এসএমএস ছাড়াও টিকা দেয়া হয়েছে। অন্য কেন্দ্রের কেউ থাকলে এসএমএস দেখানো সাপেক্ষে টিকা দেয়া হবে। সপ্তাহের প্রথম ৩ দিন টিকা নিতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।’
করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সশরীরে পাঠদান।