বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বীর’ সিনেমার শিল্প নির্দেশককে ঠকানোর অভিযোগ

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৫৮

দীপুর অভিযোগ সম্পর্কে বীর সিনেমার প্রযোজক এমডি ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। যদিও পুরস্কারের জন্য কলাকুশলীদের তালিকা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই দেয়া হয়, দাবি শিল্প নির্দেশকের।

‘কাজ করলাম আমি আর অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা পড়ল অন্য একজনের নাম, আমি হতবাক!’ নিজের ফেসবুক ওয়ালে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সাকিব খান অভিনীত বীর সিনেমার শিল্প নির্দেশক জহির দীপু।

শনিবার ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে দীপু লেখেন, ‘আমি খুব ভালো কাজ করি এমনটা মনে করি না বা সহসাই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার মতোও কিছু হয়তো পারি না। কিন্তু যেটুকু পারি সেটার স্বীকৃতি তো আশা করতেই পারি।’

তিনি অভিযোগ করেন, বীর চলচ্চিত্র শুরুর আগে প্রযোজক এমডি ইকবাল তাকে আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতে বলেছিলেন এবং সিনেমার নায়ক শাকিব খানও তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। আর সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন কাজী হায়াৎ।

দীপু দাবি করেন, দায়িত্ব পেয়ে পুরো চলচ্চিত্রটির শিল্প নির্দেশনার কাজ তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে শেষ করেছেন। সিনেমাটির প্রায় পুরো কাজ হয়েছে পুবাইলে। এর বাইরে সিনেমার দুটি দৃশ্যের এবং একটি গানের সেট নির্মাণ হয় বিএফডিসিতে। আর সেই সেট নির্মাণ করেছিলেন এফডিসির সেট ডিরেক্টর ফরিদ আহমেদ।

কিন্তু চলচ্চিত্রটির পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর যখন ট্রেলার রিলিজ হয় তখন দেখা যায়, শিল্প নির্দেশকের স্থানে তার নামের পাশে ফরিদ আহমেদের নামও যুক্ত।

এ ঘটনায় দীপু অবাক হয়েছিলেন। কারণ তার নামের পাশে অন্য একজনের নাম যুক্ত করার ব্যাপারে তাকে কেউ অবহিত করেননি।

পরে ব্যাপারটি সিনেমাটির প্রযোজক এমডি ইকবালকে জানালে তিনি জানান, মূল ছবিতে এটা সংশোধন করে দেয়া হবে। তিনি সিনেমার এডিটরকেও জানাতে বলেন যেন শিল্প নির্দেশক হিসেবে শুধু দীপুর নাম দেয়া হয়।

দীপু সিনেমাটির এডিটরকে এটি জানানোর পর তিনি সংশোধন করে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। পরে এ ব্যাপারে তিনি আর কোনো খোঁজ খবর নেননি।

কিন্তু কিছুদিন পর পত্রিকায় দীপু দেখতে পান বীর চলচ্চিত্রটি অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। তখন তিনি সিনেমার প্রযোজককে ফোন করে বলেন, ‘বীর অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু শিল্প নির্দেশক হিসেবে আমার কাছে তো কেউ কোনো কাগজপত্র চায়নি।’

প্রযোজক তখন দীপুকে সেন্সর বোর্ডে গিয়ে কাগজ জমা দিয়ে আসতে বলেন। সেখানে গিয়ে দীপু জানতে পারেন, কলাকুশলীর তালিকায় আর্ট ডিরেক্টর তার বদলে ফরিদ আহমেদের নাম দেয়া আছে।

দীপু দাবি করেন, এ ধরনের ঘটনা এটাই শেষ নয়। তার কর্মগুরু রহমতুল্লাহ বাসুর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এর আগে। একটি সিনেমায় মূল আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন বাসু। আর দুয়েকটি সেট নির্মাণ করেছিলেন ফরিদ আহমেদ। সেখানেও বাসুকে কোনোরকম অবগত না করেই ফরিদ আহমেদের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছিল। আর সেটা তিনি জানতে পারেন সিনেমা মুক্তির পর। সেবার পুরস্কারের জন্য কলাকুশলীদের তালিকায় বাসু এবং ফরিদের নাম দেয়া হলেও এবার দীপুর নামটি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দীপু প্রশ্ন রাখেন, ‘এগুলো কি অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃত ভুল, নাকি কারও কারসাজি?

দীপুর অভিযোগ সম্পর্কে বীর সিনেমার প্রযোজক এমডি ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

তবে জহির দীপু দাবি করেন, পুরস্কারের জন্য কলাকুশলীদের তালিকা পাঠানো হয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই।

এ বিভাগের আরো খবর