কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় কালী মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শনিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চার ব্যক্তি হলেন, উপজেলার নানশ্রী গ্রামের ছেলে ২২ বছরের মামুনুর রশিদ, জয়কা এলাকার ১৫ বছর ও ১৭ বছরের দুই কিশোর এবং একই এলাকার ৫০ বছর বয়সী পল্লি চিকিৎসক কফিল উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, হামলায় নেতৃত্ব দেন মামুনুর রশিদ। তিনি উপজেলার রামনগর গদাউল্লাহর বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের কদিম মাইজহাটি এলাকায় কালী মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। মন্দিরে ঢুকে পাঁচটি প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় তারা।
তিনি বলেন, পূজারীরা যখন প্রতিমা বিসর্জ্জন দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সে মুহূর্তে হামলা করা হয়।
হামলার পরেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, র্যাব- ১৪ সিপিবি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এম শোভন খান, সহকারী পুলিশ সুপার (করিমগঞ্জ সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা নূর হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম আওলাদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ দত্ত প্রদীপসহ বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার রাতে ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রতিমা ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন। কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন অবমাননার ঘটনার জেরেই এ হামলা করেছে বলেও স্বীকার করেছেন।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নীরুলাল দেবনাথ বলেন, ‘এলাকার হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি মহল কৌশলে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।