প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার।
দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রে অংশ নেবেন ৪ হাজার ৭১০ শিক্ষার্থী। আর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন ৭ হাজার ১০৮ জন।
শনিবার বিকেলে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোববার থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এরই মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্রও চলে গেছে। আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই-এক দিনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। পরীক্ষার কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন টেকনিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে থাকবে। তা ছাড়া পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসসংবলিত ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস নিষিদ্ধি করা হয়েছে।’
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবার বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগসহ তিন ইউনিটে রয়েছে ২২ হাজার ১৩টি আসন। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৬ জন আবেদন করেছেন।
খুলনায় বসছেন ৭ হাজার ১০৮ জন
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ১০৮ জন। এর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রোল নম্বর ১২৩৩৩৫ থেকে ১২৮৬২৪ পর্যন্ত ৫ হাজার ২৯০ জন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজে রোল নম্বর ১২৮৬২৫ থেকে ১৩০৪৪২ পর্যন্ত ১ হাজার ৮১৮ জন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাল পারসন চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তিনি জানান, পরীক্ষার দিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গল্লামারী থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। এতে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। তবে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না।
দেশের মোট ২৬টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা হবে। গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ- মোট তিনটি ইউনিট রয়েছে। আসন রয়েছে মোট ২২ হাজার ১৩টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।